দেশজুড়ে

ছেলের চাকরি স্থায়ীকরণ চেয়ে পঙ্গু বাবার আকুতি

লক্ষ্মীপুরে ছেলের চাকরি স্থায়ীকরণ চেয়ে অকুতি জানিয়েছেন পঙ্গু বাবা মো. আরশাদ হোসেন। রোববার (১৭ মার্চ) সকাল ১০ টা থেকে প্রায় দুই ঘণ্টা তিনি লক্ষ্মীপুর প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নেন। তার ছেলে হাবিবুর রহমান জেলা সদর হাসপাতালে পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে রয়েছেন।

আরশাদ রামগঞ্জ উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের হোটাটিয়া গ্রামের হাজি বাড়ির বাসিন্দা।

আরশাদ হোসেন জানান, সংসারে তিন ছেলে-মেয়ে। ভিক্ষাবৃত্তি করে সংসার চলে তার। করোনাকালীন সময়ে বড় ছেলে হাবিবুর রহমানের চুক্তিভিত্তিক চাকরি হয়। সংসারে অনেক খরচ। যে কয় টাকা বেতন পায় সেটি দিয়ে সংসার চালানো কষ্টসাধ্য। ছেলের চাকরিটি স্থায়ী হলে তাকে আর ভিক্ষাবৃত্তি করতে হবে না।

তিনি বলেন, আমি এলাকায় ভিক্ষা করি না। নোয়াখালীর চাটখিল এলাকায় গিয়ে ভিক্ষা করি। প্রধানমন্ত্রী দয়ায় আমি প্রতিবন্ধী ভাতা পাই। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুতি জানাচ্ছি, তিনি যেন আমার ছেলের চাকরিটি স্থায়ী করে দেন। ছেলের চাকরি স্থায়ী হলে আমার সংসারে দুঃখ থাকবে না।

হাবিবুর রহমান বলেন, ২০২২ সালের ১৩ নভেম্বর আমি ক্লিনার পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাই। জুনে চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে। চাকরিটি চলে গেলে আমি অসহায় হয়ে পড়বো। সংশ্লিষ্টদের কাছে আকুতি জানাচ্ছি, যেন আমার চাকরিটি স্থায়ী করা হয়।

সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আনোয়ার হোসেন বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে হাবিবুর রহমানকে চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী তিনি চাকরি করছেন। তার চাকরি স্থায়ীকরণ করা হবে কি না সেটি মন্ত্রণালয় জানেন।

এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডা. আহাম্মদ কবীর বলেন, টেন্ডারের মাধ্যমে একটি প্রতিষ্ঠানকে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের দায়িত্ব দেওয়া হয়। চুক্তি অনুযায়ী নির্দিষ্ট মেয়াদে চাকরি করতে পারবেন। এছাড়া এ চাকরি স্থায়ীকরনের সুযোগ নেই।

কাজল কায়েস/আরএইচ/জিকেএস