নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মই দিয়ে ডিভাইডার পারাপার করার ঘটনায় মূলহোতা রবিউলকে (২৬) আটক করেছে কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশ। রোববার (১৭ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টায় সিদ্ধিরগঞ্জের রসূলবাগ এলাকায় থেকে তাকে আটক করা হয়।
রাতেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাঁচপুর হাইওয়ে থানার শিমরাইল ক্যাম্পের টিআই একেএম শরফুদ্দিন।
আটক রবিউল চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের পূর্ব দুর্গাপুর এলাকার আলতাব হোসেনের ছেলে। পেশায় তিনি আগে সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক ছিলেন। থাকেন সিদ্ধিরগঞ্জে বোনের বাসায়।
রোববার দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল মোড়ের সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর অফিসের সামনে টাকার বিনিময়ে মই দিতে মহাসড়ক পারাপার করার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এরপরই তাকে আটক করতে অভিযানে নামে পুলিশ।
আরও পড়ুনমহাসড়কে মই দিয়ে যাত্রী পারাপার, ভিডিও ভাইরাল
এ বিষয়ে কাঁচপুর হাইওয়ে থানার শিমরাইল ক্যাম্পের টিআই একেএম শরফুদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, ভিডিওটি আমাদের নজরে আসার পরই আমরা ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাই। কিন্তু সেখানে তাকে না পেয়ে ভিডিও ফুটেজ দেখে অবস্থান শনাক্ত করে আটক করা হয়। তিনি চট্টগ্রাম থাকাকালীন সিএনজি চালাতেন। গত ১৫ দিন আগে সিদ্ধিরগঞ্জে বোনের বাসায় আসেন।
তিনি জানান, গত কয়েকদিন ধরে যাত্রীদের ঝুঁকি নিয়ে উঁচু ডিভাইডার পারাপার হওয়ার দৃশ্য দেখে তিনি মই নিয়ে এ ব্যবসা শুরুর পরিকল্পনা করেন। রোববার সকাল থেকে টাকার বিনিময়ে যাত্রীদের পারাপার করা শুরু করেন। তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
গত বছরের মাঝামাঝি দূরপাল্লার যানবাহনগুলো সরাসরি যেন ঢাকায় যেতে পারে সেজন্য চার লেনের ঢাকামুখী সড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের কাঁচপুর ব্রিজ থেকে কুয়েত প্লাজা এলাকা পর্যন্ত উঁচু ডিভাইডার দিয়ে দুই লেন বিভক্ত করে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে আঞ্চলিক যানবাহন চলাচলের জন্য আরও দুই লেন রাখা হয়।
এতদিন দূরপাল্লার লেন থেকে আঞ্চলিক লেনে যাত্রীদের চলাচলের জন্য সওজ কার্যালয়ের সামনে একটি গেট খোলা রাখা হতো। সেখানে দূরপাল্লার যানবাহনগুলো শিমরাইল মোড়ের যাত্রীদের নামিয়ে দিতো। কিন্তু গত দুই মাস ধরে তা বন্ধ করে রেখেছে সওজ কর্তৃপক্ষ। দূরপাল্লার যানবাহনগুলো এখনো সেই স্থানেই যাত্রী নামিয়ে দিচ্ছে। ফলে গত দুইমাস ধরে যাত্রীরা এভাবেই ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন। এ সুযোগে আটক ব্যক্তি টাকার বিনিময়ে যাত্রীদের ডিভাইডার পারাপারের ব্যবসায় নামেন।
রাশেদুল ইসলাম রাজু/এমকেআর