রাজধানীর ডেমরার ভাঙ্গা প্রেস এলাকায় চারতলা ভবনে লাগা আগুন ১২ ঘণ্টা পর পুরোপুরি নিভেছে। যদিও সকাল ৮টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানিয়েছিল ফায়ার সার্ভিস।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টায় এ ভবনে আগুন লাগে। ১২ ঘণ্টা চেষ্টার পর শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আগুন পুরোপুরি নেভে বলে সাংবাদিকদের জানান ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের উপপরিচালক (পরিকল্পনা) মো. আখতারুজ্জামান।
একই সঙ্গে তিনি আগুন নেভাতে কেন ১২ ঘন্টা লাগলো সেটিও তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন, গতকাল রাত সাড়ে ১১টার দিকে এখানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। অগ্নিকাণ্ডের সঙ্গে সঙ্গে ডেমরা ইউনিট এখানে এসে কাজ শুরু করে। দীর্ঘ ১২ ঘণ্টা কাজ করে আগুন প্রায় শেষ পর্যায়ে। এখানে ১০টি ইউনিট কাজ করেছে।
আরও পড়ুন
পোড়া ভবন থেকে এখনো বেরোচ্ছে ধোঁয়া ডেমরায় আগুন: খেলার সামগ্রীতে পূর্ণ ছিল ভবনটিউপপরিচালক বলেন, পুরো চারতলা ভবনে একেবারে ছাদ পর্যন্ত মালামাল মজুত করা। স্পোর্টসের এমন কোনো জিনিস নেই যা এখানে মজুত করা হয়নি। এত পণ্য রাখার কারণে পানি দেওয়া হলে তা ভেতরে যাচ্ছিল না। সব মালামাল সরিয়ে তারপর ভেতরে প্রবেশ করে পানি দিতে হয়েছে। সব মালামাল রিমুভ না করলে আগুন পুরোপুরি নিভছিল না। এজন্য আগুন নেভাতে দীর্ঘ সময় লেগেছে।
তিনি বলেন, ভবনের সব কিছুতেই আমরা সমস্যা পেয়েছি। এখানে পণ্য মজুত করা হয়েছে কিন্তু কোনো গ্যাংওয়ে নাই। এখানে ৩ ফিট গ্যাংওয়ে থাকার কথা। সিড়ি অত্যন্ত সরু। আগুন নেভানোর ব্যবস্থাও নেই। এখানে ন্যূনতম কোনো সিস্টেম মেইনটেইন করা হয় নাই। ভেতরের কাঠামোটা অত্যন্ত জটিল।
‘এছাড়া আশপাশে কোনো পানির সোর্স নেই। গাড়ি দিয়ে পানি আনতে হয়েছে। সর্বশেষ প্রায় আধা কিলোমিটার দূর থেকে পাইপ দিয়ে পানি আনা হয়েছে।
আকতারুজ্জামান আরও বলেন, এরই মধ্যে আমাদের মহাপরিচালক একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কমিটি গঠন করা হলে কমিটি বিস্তারিত সুপারিশ করবে। তারাই বিস্তারিত তথ্য দেবে এখানে কি কি ব্যত্যয় হয়েছে।
‘ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও এ মুহূর্তে বলা সম্ভব না। মালিকপক্ষের কাছে জানতে চেয়েছিলাম, ক্ষতির পরিমাণ। তারা ঠিক বলতে পারছেন না কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে।’
কী কারণে আগুন লেগেছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে, জানতে চাইলে উপপরিচালক বলেন, আগুনের কারণ এবং ক্ষয়ক্ষতি দুটিই তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দু-একজন ফায়ার কর্মীর হাত কেটেছে। এছাড়া কোনো হাতাহতের ঘটনা নেই।
আরএমএম/এমএইচআর/এমএস