চুয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ও বাতাসের আর্দ্রতা ১৪ শতাংশ রেকর্ড করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে জেলার আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
Advertisement
তিনি জানান, এপ্রিলের শুরু থেকে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ থাকলে সেটা গত কয়েকদিন একটানা তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহে রূপ নিয়েছে। এ কারণে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত আবহাওয়া সর্তকতা জারি (হিট এলার্ট) রেখেছে।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ওইদিন বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ২১ শতাংশ।
এদিকে দিনের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের চোখ রাঙানি বাড়তে থাকে। ফলে তীব্র তাপ প্রবাহের কারণে শ্রমিক, দিনমজুর, রিকশা-ভ্যানচালকরা কাজ করতে না পেরে অলস সময় পার করছেন। একটু প্রশান্তির খোঁজে গাছের ছায়া ও ঠাণ্ডা পরিবেশে স্বস্তি খুঁজছেন স্বল্প আয়ের মানুষ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তাঘাটে লোকজনের চলাচল সীমিত হয়ে পড়ে। আবার অনেকে জরুরি প্রয়োজনেও জীবন-জীবিকার তাগিদে প্রচণ্ড তাপদাহ উপেক্ষা করে কাজে বের হচ্ছেন।
Advertisement
রবিউল ইসলাম নামের এক ব্যবসায়ী জানান, বৃষ্টির পর ভেবেছিলাম তাপমাত্রা কমবে। কিন্তু সেটি বেড়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে কড়া রোদের কারণে বের হওয়া যাচ্ছে না।
বেসরকারি চাকরিজীবী আশরাফুল ইসলাম বলেন, সকালে যখন অফিসে আসছি। তখন থেকে প্রচুর গরম লাগছে। সারাদিন অফিসে থাকায় কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে।
ব্যাটারিচালিত ভ্যানচালক আরমান মিয়া বলেন, সারাদিন শুয়ে-বসে দিন পার করছি। সন্ধ্যায় কিছুটা যাত্রী পাচ্ছি। সংসার চালানো দায় হয়ে পড়ছে।
এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টা ২০ মিনিটে বজ্রবৃষ্টি শুরু হয়। প্রায় এক ঘণ্টা স্থায়ী হয় এ ঝড়বৃষ্টি। এসময় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে এক দশমিক ৬ মিলিমিটার। বৃষ্টির আগে গত মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ বৃষ্টির পর এ জেলার তাপমাত্রা আরও দুই থেকে চার ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে। ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হয়েছে।
Advertisement
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে আবহাওয়ার সর্তকতা মেনে চলতে। এছাড়া গরম থেকে পরিত্রাণ পেতে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে জেলাব্যাপী তথ্য অফিসের মাধ্যমে মাইকিং করে নানা নির্দেশনা প্রচার করা হচ্ছে।
হুসাইন মালিক/আরএইচ/জেআইএম