নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে আমি অর্থ আত্মসাৎ করেছি। অর্থ পাচার করেছি। আমি সুদখোর। এরকম ভয়াবহ শব্দ অভিযোগে বলা হয়েছে। এ অপরাধগুলো আমার গায়ে লাগানোর মত অপরাধ কি না সেটা আপনারাই বিবেচনা করবেন। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেশের জনগণ বিবেচনা করবে।
বৃহস্পতিবার (২ মে) গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক কর্মচারীদের সংরক্ষিত ফান্ডের লভ্যাংশের ২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে করা মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানি শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
ড. ইউনূস বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকের মালিক আমি না। আমি এক কোটি গরিব মানুষকে গ্রামীণ ব্যাংকের মালিক বানিয়েছি। তাদের মালিকানা দিয়েছি। আর কেউ তো দেয়নি।
আরও পড়ুনঅর্থ আত্মসাৎ মামলায় জামিন পেয়েছেন ড. ইউনূসড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানি ২ জুনতিনি বলেন, আমি নাকি ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের টাকা আত্মসাৎ করেছি। আমাকে নাকি পদ্মায় ফেলে চুবানো হবে। এরকম অনেক কটু কথা বড় বড় প্রোগ্রামে বলা হয়েছে। মানুষ কিছুই গ্রহণ করেনি। আজকে যে অভিযোগ এসেছে অর্থ পাচারের, এগুলো সব আগের মতই হয়রানি।
আপনার সঙ্গে বারবার কেন এমন হচ্ছে- সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ প্রশ্ন তো আমিও আপনাদের মাধ্যমে বারবার করেছি। যারা আমার সঙ্গে এমন করছে এ ব্যাখ্যা তো তারা দেবেন।
গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০২৩ সালের ৩০ মে ড. ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। সংস্থাটির উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
আরও পড়ুনআমাদের ওপর অনেক ‘বালা-মুসিবত’: ড. ইউনূসআজ সেই মামলার অভিযোগ গঠনের দিন ধার্য ছিল। তবে আসামিপক্ষের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য আগামী ২ জুন দিন ধার্য করেন। এ মামলায় এদিন সকালে পূর্বশর্তে ইউনূসসহ ১৪ আসামি জামিন আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
এর আগে আলোচিত এ মামলায় হাজিরা দিতে বেলা সোয়া ১১টার পর আদালতে যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আরএএস/এমকেআর/জিকেএস