দেশজুড়ে

তেঁতুলিয়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি যুবক নিহত

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি যুবকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (৮ মে) ভোরে উপজেলার ক্ষয়ঘটপাড়া সীমান্ত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

তার হলেন, উপজেলার মাগুরা এলাকার মজনু মিয়ার ছেলে আব্দুল জলিল (২৪) ও তিরনইহাট ব্রম্মতল এলাকার কেতাব আলীর ছেলে ইয়াসীন আলী (২৩)।

বিজিবি ও নিহতের পরিবার সূত্র জানায়, মঙ্গলবার রাতে তিরনইহাট ইউপি সদস্য আজহারুল ইসলাম, সাবেক ইউপি সদস্য হাফিজ উদ্দিন, স্থানীয় বাসিন্দা কবির হোসেন ও শামসুল হক তাদের বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান। পরে তারা গরু আনতে ভারতীয় সীমান্ত এলাকায় যান। এক পর্যায়ে ভারতের ফকিরগাছ বিএসএফ ফাঁড়ির সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি করে। পরে মরদেহ ভারতের অভ্যন্তরে নিয়ে যায় বিএসএফ সদস্যরা।

দুপুরে সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিজিবির পক্ষে পঞ্চগড়-১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল যুবায়েদ হাসান ও ভারতের ১৭৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক এসএস শিরোহী নেতৃত্ব দেন।

নিহত ইয়াছিন আলীর মা জবেদা বেগম বলেন, ইউপি সদস্য আজহারুল ইসলামসহ কয়েকজন রাতে আমরা ছেলেকে ডেকে নিয়ে যান। আমি ছেলেকে যেতে নিষেধ করেছিলাম। সকালে খবর পাই, আমার ছেলেকে বিএসএফ গুলি করে মেরে ফেলেছে। আমার ছেলের মৃত্যুর জন্য তারা দায়ী।

তিরনইহাট ইউপি সদস্য মানিকুজ্জামান বলেন, রাতে কয়েকজন মিলে ভারতে গরু আনতে গেলে বিএসএফ তাদের গুলি করে। আমরা বিজিবির কাছে ছবি দেখে নিহতদের শনাক্ত করি। আমরা চাই নিহতদের মরদেহ দ্রুত এনে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হোক।

পঞ্চগড়-১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল যুবায়েদ হাসান বলেন, বিএসএফ জানিয়েছে কয়েকজন যুবক দেশিয় অস্ত্র দিয়ে তাদের ওপর হামলা করে। আত্মরক্ষার্থে তারা গুলি করতে বাধ্য হয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ ফেরতের কথা জানায় বিএসএফ।

সফিকুল আলম/এফএ/এএসএম/জিকেএস