দেশজুড়ে

হামলার চার দিন পর মারা গেলেন পরাজিত প্রার্থীর সমর্থক

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় গুরুতর আহত আব্দুল আলীম (৫০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

সোমবার (১৩ মে) ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান তিনি।

আব্দুল আলীম নির্বাচনে মোটরসাইকেল প্রতীকের পরাজিত প্রার্থী বদিউজ্জামান বদি ফকিরের সমর্থক ও উপজেলার কামারপাড়া গ্রামের মৃত হায়দার আলী ছেলে।

জানা যায়, মারধরের ঘটনায় আহত আলীমকে প্রথমে এনায়েতপুর খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে তার অবস্থার অবনতি হলে চারদিন পর সোমবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পথেই তিনি মারা যান। আব্দুল আলীমের মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আনিসুর রহমান জাগো নিউজকে জানান, এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। সেই সঙ্গে মামলার প্রস্তুতি চলছে। আটকরা হলেন ওই গ্রামের চান মিয়া, রাসেল সেখ ও আবুল হোসেন।

স্থানীয়রা জানায়, ৮ মে প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ শেষে প্রতিদ্বন্দ্বী দোয়াত কলম প্রতীকের প্রার্থী আমিনুল ইসলাম বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়। এরপর আমিনুল ইসলামের সমর্থক চান মিয়া, রাসেল সেখ, আবুল হোসেন, বাবলু, আব্দুল মান্নান, সাদ্দাম ও আব্দুল খালেক মেম্বরের নেতৃত্বে আব্দুল আলীমের ওপর হামলা চালানো হয়। এ হামলায় তাকে বেধড়ক মারপিট করেন তারা।

এ বিষয়ে দোয়াত কলম প্রতীকের বিজয়ী প্রার্থী আমিনুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

চেয়ারম্যান পদের পরাজিত প্রার্থী বদিউজ্জামান ফকির জাগো নিউজকে বলেন, নিহত আব্দুল আলীম সম্পর্কে আমার চাচা। নির্বাচনের আগে থানা চত্বরে দোয়াত কলমের প্রার্থী আমিনুল ইসলাম সরকার ঘোষণা দিয়েছিল আমার রক্ত নিয়ে হোলি খেলবে। সেটা করতে না পেরে আমার কর্মীদের রক্ত নিয়ে হোলি খেলছে। আমি এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সেই সঙ্গে এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।

এম এ মালেক/এনআইবি/এএসএম