দেশজুড়ে

ধুনটে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে বিশ্ব ইজতেমা শেষ

বগুড়ার ধুনটের সরুগ্রামে শনিবার দুপুরে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে তাবলিগ জামাতের তিন দিনব্যাপি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিশ্ব ইজতেমা শেষ হয়েছে।মোনাজাত পরিচালনা করেন ঢাকার কাকরাইল মসজিদের মুরব্বি মাওলানা মোহাম্মদ হুসাইন সাহেব।দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি, উন্নয়ন, সমৃদ্ধি ও গুনাহ মাফের জন্য আল্লাহর দরবারে দীর্ঘ মোনাজাত করা হয়। লাখো ধর্মপ্রান মুসুল্লির কান্না ও আমিন আমিন ধ্বনীতে মুখরিত হয় ইজতেমা প্রাঙ্গন।

ঢাকার কাকরাইল মসজিদের তত্বাবধায়নে গত বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজের পর উদ্বোধনী আম বয়ানের মধ্য দিয়ে ইজতেমা শুরু হয়। একদিন আগেই মুসল্লিদের ঢল নামে। কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় সরু গ্রামের বিশাল ইজতেমা ময়দান। প্রতি বছরের মতো এবারও সৌদিআরব, মালয়েশিয়া, ফিলিস্তিন, সোমালিয়া, তিউনিশিয়া, আফ্রিকা, মরোক্ক এবং দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে লক্ষাধিক ধর্মপ্রান মুসুল্লি ইজতেমায় অংশ নেন। তারা তিনদিন ইজতেমা ময়দানে অবস্থান করে আল্লাহর ইবাদত বন্দেগী ও নবী রাসুলের তরিকাসহ ধর্মীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কোরআন ও হাদিসের আলোকে ওলামায়ে একরামগণের বয়ান শোনেন।

শুক্রবার লক্ষাধিক মুসল্লি ইজতেমায় জুম্মার নামাজ আদায় করেন। শনিবার আখেরি মোনাজাতের দিন ইজতেমায় মুসুল্লির সংখ্যা আরো বেড়ে যায়। ইজতেমা ময়দানের আশপাশের বাড়িঘরে বিপুল সংখ্যক নারী আখেরী মোনাজাতে অংশ নেন।

আখেরি মোনাজাতের আগে হেদায়েতের বয়ান করেন, ঢাকার কাকরাইল মসজিদের মুরব্বি মাওলানা আব্দুল মতিন সাহেব। তিনি তার বয়ানে বলেন, আল্লাহ এবং তার রাসুলের কোরআন ও হাদিস অনুযায়ী দ্বীনের পথে চলতে হবে। সেজন্য ত্যাগ স্বীকার করে আল্লাহর রাস্তায় আমাদের জান ও মাল কোরবানি দিতে হবে। ইজতেমার শেষ দিন শুক্রবার ফজরের নামাজ শেষে বয়ান করেন কাকরাইল মসজিদের মুরুব্বি মাওলানা মাকফুজুর রহমান।     

ইজতেমার আয়োজক কমিটির সদস্য হুমায়ুন কবির জানান, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিশ্ব ইজতেমা আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে। এই ইজতেমা শেষে মুসুল্লিরা দ্বীন ও ইসলামের দাওয়াতের কাজের জন্য ১৮টি জামাত বন্দি হয়ে ঢাকার টঙ্গিতে বিশ্ব ইজতেমায় অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন।