দেশজুড়ে

চুয়াডাঙ্গায় দুই সাংবাদিককে লাঞ্ছনার অভিযোগ

চুয়াডাঙ্গায় দুই সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। রোববার (২ জুন) রাত ৯টার দিকে শহরের সাতগাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী দুই সাংবাদিক হলেন, বেসরকারি স্যাটেলাইন টেলিভিশন ডিবিসি নিউজের চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি কামরুজ্জামান সেলিম ও তার ক্যামেরাপার্সন শিমুল হোসেন।

ভুক্তভোগী শিমুল হোসেন বলেন, রোববার রাতে নিজ বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। এসময় সদর থানার এএসআই নাসরিন আক্তারসহ একটি টিম পাশের একটি ঘটনার তদন্তে আসে। তারা আমাকে ওই অভিযুক্তকে কল দিতে বলেন। আমি তার মোবাইল নম্বর নেই বললে পুলিশের এক সদস্য ক্ষেপে যান। পরে আমার পরিচয় (ডিবিসি নিউজের সাংবাদিক) জানালে পরিচয়পত্র দেখতে চান কনস্টেবল শাহিন। পরিচয়পত্র বাড়িতে রয়েছে জানালে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে তারা সেখান থেকে চলে যেতে বলেন। বিষয়টি ডিবিসি নিউজের চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি কামরুজ্জামান সেলিমকে জানালে তিনি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানায়। সে কর্মকর্তারা এএসআই নাসরিনের মোবাইলে কথা বলার পর কনস্টেবল শাহিন আরও উত্তেজিত হয়ে পড়েন।

তিনি আরও বলেন, কিছুক্ষণ পর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মামুন ঘটনাস্থলে এসে আমাকে বলেন, তুই পুলিশের কাজে বাধা কেন দিয়েছিস? পরে আমাকে মারধর করে পুলিশের গাড়িতে তোলেন। খবর পেয়ে কামরুজ্জামান সেলিম ঘটনাস্থলে এসে ছবি তুলতে গেলে তাকে ধাক্কা দিয়ে মোবাইল কেড়ে নেয়। পরে লোকজন জড়ো হলে আমাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেন।

এ বিষয়ে ডিবিসি নিউজের প্রতিনিধি কামরুজ্জামান সেলিম বলেন, প্রথমে পুলিশ সদস্যদের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের কথা ওসিকে জানানো হলে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে পুলিশ সদস্যরা। আমি ঘটনাস্থলে পৌঁছালে আমাকেও হেনস্তা করা হয়। কেড়ে নেয় ব্যবহৃত মোবাইল ফোন।

অভিযুক্ত এসআই মামুন বলেন, এএসআই নাসরিনসহ তার টিমকে ওই ভিডিও সাংবাদিকের পরিবার অবরুদ্ধ করে রেখেছিলেন এমন সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসি। সেখানে কোনো সাংবাদিককে মারধর বা হেনস্থার ঘটনা ঘটেনি। তবে সেখানে আগে কি ঘটনা ঘটেছে সেটি জানি না।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী বলেন, আমি সাক্ষী দিতে সাতক্ষীরায় রয়েছি। চুয়াডাঙ্গায় পৌঁছেই দ্রুত বিষয়টি সুরাহা করবো।

এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) নাজিম উদ্দিন আল আজাদ জানান, বিষয়টি দুঃখজনক। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ জন্য সাংবাদিকদের কাছে সময়ও চান তিনি।

হুসাইন মালিক/আরএইচ/এএসএম