শিক্ষা

বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়রানি-নিপীড়ন প্রতিকারে নিয়োগ হচ্ছে ন্যায়পাল

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে হয়রানি-নিপীড়নসহ নিরপেক্ষভাবে বিভিন্ন অভিযোগ প্রতিকারের ব্যবস্থা নিতে একজন করে ন্যায়পাল নিযুক্ত করার বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইউজিসির চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মুহাম্মদ আলমগীর।

তিনি বলেন, দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ন্যায়পালের ধারণাটি কীভাবে কার্যকর করা সম্ভব, তা নিয়ে কাজ করছি আমরা। আশা করছি শিগগির এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হবে।

বুধবার (৫ জুন) দুপুরে ইউজিসিতে তথ্য অধিকার আইন বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি ও তথ্য অধিকার কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ইউজিসির জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগের পরিচালক শামসুল আরেফিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউজিসি সচিব ফেরদৌস জামান। এতে রিসোর্স পারসন হিসেবে অংশ নেন সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সদস্য অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পান্ডে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, পরিচয় প্রকাশ হওয়ার ভয়ে অনেক ভুক্তভোগী অভিযোগ করতে আগ্রহী হন না। ফলে অপরাধ করেও অনেকে পার পেয়ে যাচ্ছেন। ন্যায়পাল নিযুক্ত করা গেলে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব হবে। অপরাধের ঘটনা ঘটলে তা প্রতিকারে অভিযোগকারীর পরিচয় প্রকাশ না করেই নিরপেক্ষভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ সম্ভব হবে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাধ প্রবণতা কমে আসবে।

তথ্য অধিকার আইন যুগান্তকারী উল্লেখ করে ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, আইনটি সম্পর্কে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিরা যথেষ্ট অবহিত নন। আইনের বাধ্যবাধকতার বিষয়গুলো জানা না থাকায় তথ্য দিতে অনেকেই অনীহা দেখিয়ে থাকেন। ফলে প্রতিষ্ঠানকেও অনেক সময় বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে বিষয়টি সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার তথ্য সংরক্ষণ ও সরবরাহ ব্যবস্থা অনেক সহজ করেছে। তথ্য সেবা নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে তথ্য সংরক্ষণ ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে হবে।

প্রশিক্ষণ কর্মশালায় দেশের ২৩টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আরটিআই ফোকাল পয়েন্ট বা বিকল্প ফোকাল পয়েন্টসহ ইউজিসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশ নেন।

এএএইচ/এমআইএইচএস/এমএস