মধুমাস (জ্যৈষ্ঠ) শেষ হয়েছে প্রায় আড়াই মাস আগেই। এ মধুমাস ঘিরে দেশে যেসব ফল পাওয়া যায়, তার প্রায় সবই ফুরিয়েছে। তবে কিছুটা ভিন্ন চিত্র আমের ক্ষেত্রে। মৌসুমের একেবারে শেষদিকেও বাজারে মিলছে আম। আশ্বিনা ও বারিসহ দীর্ঘমেয়াদি আরও কিছু জাতের আম এখনো মিলছে বাজারে। তবে, মৌসুমজুড়েই চড়া আমের দাম।
ক্রেতারা বলছেন, বাজারে বেশ কয়েক জাতের আম এখনো পাওয়া যাচ্ছে। অন্যবারের চেয়ে আগস্ট মাসে মাঝখানেও এবার আমের সরবরাহ কিছুটা বেশি। দাম একটু বেশি হলেও আম পাওয়া যাচ্ছে, স্বাদ-গন্ধেও ভালো।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, এখনো গৌড়মতি, কাটিমন ও আশ্বিনা জাতের আম বাজারে বিক্রি হচ্ছে। কিছু দিন আগে শেষ হয়েছে আম্রপালি। তবে শেষদিকে এসে জাত ও মানভেদে বেড়েছে আমের দাম। প্রতিকেজি আম ১২০ থেকে ২০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। এ দাম তুলনামূলক বেশি বলে দাবি ক্রেতাদের।
বিক্রেতারা জানান, এখনো রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ থেকে আম আসছে। মৌসুম শেষের দিকে হলেও বেচাকেনা ভালো। আন্দোলনে ব্যবসার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
বাজারে বারি জাতের বারি-৩, বারি-৪, বারি-১১, বারি-১২ বা গৌড়মতি জাতের আমের চাহিদা ভালো। এসব আমই ‘বারি আম’ বলে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।
রামপুরা এলাকার ফল ব্যবসায়ী সালাম হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, কয়েক বছর আগে এসময় আম পাওয়া যেত না। কিন্তু এখন বারি আমের ছড়াছড়ি। বারি এখনো মাসখানেক পাওয়া যাবে। দামও বাড়বে।
আমের ক্রেতা জামিল মহসিন বলেন, বাচ্চারা আম খুব পছন্দ করে। আগে আম্রপালি নিতাম, এখন পাচ্ছি না। গত দুইদিন বারি-৪ নিচ্ছি। আমটা বেশ ভালো। আঁটি ছোট এবং রসালো। দাম বেড়ে যাচ্ছে। অন্যবারের তুলনায় দাম বেশি মনে হচ্ছে।
এনএইচ/এমএএইচ/জেআইএম