সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের কিছু বিচারপতি সাংবিধানিক শপথ ভুলে গিয়ে দলীয় আনুগত্য প্রদর্শন করে শেখ হাসিনা, শেখ ফজলে নূর তাপস বা আনিসুল হকের নির্দেশে বিচারের নামে অবিচার করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সদস্যরা।
রোববার (২৫ আগস্ট) শেখ হাসিনাকে অবিলম্বে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা, হাইকোর্ট বিভাগের দলকানা, অযোগ্য ও দুর্নীতিবাজ বিচারপতিদের পদত্যাগ এবং ব্যারিস্টার এম আশরাফুল ইসলামের উপর বর্বরোচিত হামলাকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন অ্যাডভোকেট শাহ আহমেদ বাদল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট মুহসিন রশিদ, অ্যাডভোকেট সৈয়দ মামুন মাহবুবসহ অন্যান্য আইনজীবীরা।
আরও পড়ুন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন বাতিল চেয়ে রিটের আদেশ মঙ্গলবার পিলখানা হত্যাকাণ্ড: শেখ হাসিনা-আজিজসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা নথিভুক্তসংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, কেউ কেউ অযৌক্তিক বিবৃতির পর বিবৃতি দিয়ে আন্দোলনকে বিভ্রান্ত করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছেন। আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের সেই প্রিয় বন্ধুদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে এবং তারা অনতিবিলম্বে হাইকোর্ট বিভাগের দলবাজ বিচারপতিদের পদত্যাগের আন্দোলনে শরিক হবেন।
তারা বলেন, শুধু ব্যক্তি বা দলের পরিবর্তনে ডুবন্ত বাংলাদেশকে উদ্ধার করা যাবে না। সে জন্য যা প্রয়োজন, তা হচ্ছে বিচার বিভাগসহ সমস্ত সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পুনর্গঠন।
আইনজীবীরা আরও বলেন, যে ভাইরাস এবং অবিচারক সুলভ লক্ষণের জন্য আপিল বিভাগের বিচারপতিরা পদত্যাগ করেছেন, সেই একই ভাইরাস এবং লক্ষণসমূহ হাইকোর্ট বিভাগের অনেক বিচারপতির মধ্যে বিদ্যমান। আমরা গত ৮ আগস্ট আইনজীবীদের দাবির মুখে তাৎক্ষণিকভাবে ৫০ জন বিচারপতির নাম উল্লেখ করেছিলাম। পরবর্তীতে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দলকানা, অযোগ্য এবং দুর্নীতিবাজ হাইকোর্ট বিভাগের ২৫ জন বিচারপতির নাম উল্লেখ করেছি।
তারা বলেন, আমরা দৃঢ় চিত্তে উল্লেখ করছি, হাইকোর্ট বিভাগের দলকানা, অযোগ্য এবং দুর্নীতিবাজ বিচারপতিরা পদত্যাগ না করা পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট বারের সদস্যরা তাদের গণতান্ত্রিক আন্দোলন অব্যাহত রাখবে।
এফএইচ/এসএইচএস/জিকেএস