জাতীয়

দুর্নীতি প্রতিরোধে নারীর অংশগ্রহণ জরুরি : বদিউজ্জামান

সমাজের সকল স্তর থেকে দুর্নীতি প্রতিরোধে নারীর অংশগ্রহণ অত্যন্ত জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান মো. বদিউজ্জামান। সোমবার দুদকের রংপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয় এবং জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি কর্তৃক যৌথভাবে নগরীর আরডিআরএস বাংলাদেশ-এর বেগম রোকেয়া মিলনায়তনে আয়োজিত ‘দুর্নীতি প্রতিরোধে নারীদের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।তিনি বলেন, সমাজের সকল স্তর থেকে দুর্নীতি প্রতিরোধে নারীর অংশগ্রহণ অত্যন্ত জরুরি। দুর্নীতি প্রতিরোধ কর্মকান্ডে ব্যাপক অংশগ্রহণের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন আরো ত্বরান্বিত করতে নারীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন।বদিউজ্জামান বলেন, দুর্নীতি প্রতিরোধে সবার অংশিদারিত্ব দরকার। নারীরা এ ক্ষেত্রে অগ্রগণ্য। কারণ নারীরাই মা হিসেবে আমাদের প্রথম শিক্ষক। মায়েরা ছোটো বেলায় দুর্নীতি প্রতিরোধের শিক্ষা দিলে প্রত্যেক মানুষ সারাজীবন প্রতিটি ক্ষেত্রে দুর্নীতি মুক্ত থাকতে সচেষ্ট হবে।তারা প্রান্তিক থেকে জাতীয় পর্যায়ে নারীরা কীভাবে দুর্নীতির শিকার হন, কীভাবে এই দুর্নীতি প্রতিরোধ করা যায় এবং দুর্নীতি দমন কমিশন এ ক্ষেত্রে কী ভূমিকা রাখতে পারেন সে বিষয়ে আলোচনা করেন।সভায় জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি প্রফেসর মো. মোজাম্মেল হক বলেন, কেবল ঘুষ দেয়া-নেয়াই দুর্নীতি নয়। যে কোনোভাবে নিজ দায়িত্বে অবহেলা করা বা যথাযথভাবে পালন না করাও দুর্নীতি। সূক্ষভাবে দেখলে পরিবারে, সমাজে এবং রাষ্ট্রের বিভিন্ন পর্যায়ে দুর্নীতি হয়ে থাকে। সবাইকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হতে হবে।দুর্নীতি দমন কমিশনের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ ও গবেষণা) ড. শামসুল আরেফিন বলেন, দুর্নীতি প্রতিরোধে নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে চায় দুর্নীতি দমন কমিশন। দুদকের মূল ভাবনা হলো, ব্যক্তিগত পর্যায়ে উদ্যোগ গ্রহণ এবং দুর্নীতি হ্রাস করা। স্কুলভিত্তিক সততা সংঘগুলো এ বিষয়ে কাজ করছে। স্থানীয় উদ্যোগগুলোই সততা সংঘকে শক্তিশালী করবে বলে আমরা আশাবাদী।অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন- রংপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. শহিদুল ইসলাম, এবং জার্মান ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন (জিআইজেড)-এর কমিউনিটি অ্যাকশন কোঅর্ডিনেটর বিনয় কুমার ঝাঁ।