ভারত ফারাক্কার ১০৯টি গেট খুলে দিলেও এখনই আমাদের দেশে বন্যার কোনো পূর্বাভাস নেই বলে জানিয়েছেন বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান।
সোমবার (২৬ আগস্ট) জাগো নিউজকে তিনি একথা জানান।
সরদার উদয় রায়হান বলেন, ‘ফারাক্কা বাঁধের পানি গঙ্গা দিয়ে প্রবাহিত হয়। আপাতত সেখানে পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আমরা সেখানে বন্যার কোনো পূর্বাভাস দেখছি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে যায় বা বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয় তাহলে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চল ঝুঁকিতে পড়বে। সেক্ষেত্রে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, মানিকগঞ্জসহ এ অঞ্চলের জেলাগুলো বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে।’
আরও পড়ুন
কাপ্তাই হ্রদের পানিবৃদ্ধি, ফের খোলা হলো বাঁধের গেট ত্রিপুরায় বাঁধ খুলে দিলো ভারত, হু হু করে পানি ঢুকছে বাংলাদেশে এবার ফারাক্কার ১০৯ গেট খুললো ভারত, বাড়ছে নদীর পানি ফারাক্কার গেট খোলায় বন্যাঝুঁকিতে দেশের যেসব জেলাএর আগে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) মো. ময়েজ উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, ‘গতকাল (রোববার) পর্যন্ত ফারাক্কার ২৭টি গেট খোলা ছিল। আজ বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেখলাম মোট ১০৯টি গেট খোলা হয়েছে। এভাবে হঠাৎ এতগুলো গেট খুলে দিলে এ অঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।’
ভারতীয় কর্তৃপক্ষের দাবি, পানি না ছাড়লে বাঁধের মারাত্মক ক্ষতি হতো। এ কারণে বাধ্য হয়েই বাঁধের মুখ খুলে দিতে হয়েছে।
আগেই পশ্চিমবঙ্গজুড়ে প্রবল বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছিল কলকাতার আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। সেই পূর্বাভাসকে সত্যি করে দুদিন ধরে এক নাগাড়ে ভারী বৃষ্টি হয়েছে। তাতে বেড়ে গেছে গঙ্গা নদীর পানি স্তর এবং চাপ বেড়েছে ফারাক্কা ব্যারেজে।
এছাড়াও, পশ্চিমবঙ্গে পার্শ্ববর্তী রাজ্য ঝাড়খণ্ড ও বিহারে বন্যার কারণে ফারাক্কার পানি বিপৎসীমার ওপর উঠে গেছে। এ কারণে বাঁধের ১০৯টি গেটই খুলে দিয়েছে বলে দাবি ভারতীয় কর্তৃপক্ষের। এসব গেট দিয়ে সোমবার ১১ লাখ কিউসেক পানি ছাড়া হয়েছে।
আরএএস/এএসএ/এএসএম