সুন্দরবনের শ্যালা নদীতে তেলবাহী ট্যাঙ্কারডুবির পেছনে কোনো অশুভ পরিকল্পনা থাকতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক পানিসম্পদমন্ত্রী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। সোমবার হাফিজ উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে সাত সদস্যের কমিটির ছয় জন ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন। পরে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, যে ট্যাঙ্কারটিতে তেল পরিবহন করা হচ্ছিল সেটি আসলে তেলবহনের উপযোগী নয়। এ ট্যাঙ্কারটি সুন্দরবনে ডুবে যাওয়ার পেছনে কোনো অশুভ পরিকল্পনাও থাকতে পারে। সন্ধ্যায় কমিটির সদস্য `সুন্দরবন রক্ষা আন্দোলনের` আহ্বায়ক ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম সমকালকে জানান, তারা সুন্দবন এলাকার `বিপর্যয় ও পরিবেশ পরিস্থিতি` সরেজমিনে দেখেছেন। এছাড়া স্থানীয় লোকজন, জনপ্রতিনিধি এবং পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও কথা বলেছেন তারা। গত ৯ ডিসেম্বর শ্যালা নদীতে কার্গো জাহাজের ধাক্কায় একটি ফার্নেস অয়েলবাহী ট্যাঙ্কার ডুবে গেলে এতে থাকা সাড়ে ৩ লাখ লিটার তেল ছড়িয়ে পড়ে সুন্দরবনের নদী-খালে। এরপর বিএনপি অভিযোগ করে, এ নৌ দুর্ঘটনা পরিকল্পিত এবং সুন্দরবনের ক্ষতি করতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ট্যাঙ্কারটি ডোবানো হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে গত ২০ ডিসেম্বর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সাত সদস্যের এই কমিটি গঠন করেন। হাফিজউদ্দিন আহমেদকে প্রধানকে করে গঠিত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- সুন্দরবন রক্ষা আন্দোলনের আহ্বায়ক শেখ ফরিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ পরিবেশ সাংবাদিক ফোরামের চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম চৌধুরী, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জু, খুলনার মেয়র মনিরুজ্জামান মনি ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মনা এবং বাগেরহাট বিএনপির সভাপতি আবদুস সালাম। তবে সোমবার সরেজমিনে শ্যালা নদী পরিদর্শনের সময় কমিটির সদস্য খুলনার মেয়র মনিরুজ্জামান মনি ছাড়া ছিলেন না।