গাজায় আরও ছয় জিম্মিকে মৃত উদ্ধারের পর বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে ইসরায়েল। হামাসের সঙ্গে এখনই যুদ্ধবিরতি চুক্তি সই করে বাকি জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার দাবিতে রোববার (১ সেপ্টেম্বর) রাস্তায় নেমে আসে হাজার হাজার মানুষ। একই দাবিতে সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে দেশটির প্রধান শ্রমিক ইউনিয়ন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, রোববার রাতে ইসরায়েলি বিক্ষোভকারী ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। ১১ মাস আগে গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরায়েলে যতগুলো বৃহৎ সরকারবিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে, তার মধ্যে এবারেরটি অন্যতম।
আরও পড়ুন>>
গাজায় ৪০৬০২ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল নিহত ৪০ হাজার ফিলিস্তিনি একসঙ্গে দাঁড়ালে কেমন হতো দেখতে? ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজায় ২৪ ঘণ্টায় আরও ৬১ ফিলিস্তিনি নিহতএদিন রাস্তায় বিক্ষোভকারীরা ‘এখন! এখন!’ বলে স্লোগান দেন এবং ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির চুক্তি করে বাকি জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার দাবি জানান।
এসময় বিক্ষোভকারীরা তেল আবিবের রাস্তাগুলো অবরোধ করেন এবং পশ্চিম জেরুজালেমে নেতানিয়াহুর কার্যালয়ের বাইরে বিক্ষোভ দেখান।
তেল আবিবে আগুন জ্বেলে সড়ক অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা। ছবি: এএফপি
গাজায় জিম্মি ইসরায়েলিদের পরিবারগুলোর প্রতিনিধিত্বকারী ‘হোস্টেজেস অ্যান্ড মিসিং ফ্যামিলিস ফোরাম’ এক বিবৃতিতে বলেছে, যুদ্ধ থামাতে এবং তাদের প্রিয়জনদের ঘরে ফিরিয়ে আনার চুক্তি নিশ্চিত করতে নেতানিয়াহুর ‘ব্যর্থতার ফল’ হলো এই ছয় জিম্মির মৃত্যু।
এদিকে, যুদ্ধবিরতির জন্য সরকারকে চাপ দিতে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ইসরায়েলের বৃহত্তম শ্রমিক ইউনিয়ন ফেডারেশন হিস্তাদ্রুত। গত ৭ অক্টোবরের পর এই প্রথমবার এ ধরনের পদক্ষেপ নিলো তারা।
ইউনিয়ন বলেছে, স্থানীয় সময় সোমবার সকাল ৮টা থেকে বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর বন্ধ থাকবে। এটি ইসরায়েলের প্রধান বিমান পরিবহন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। বিমানবন্দরটি বন্ধ থাকলে দেশটির ব্যাংকিং এবং স্বাস্থ্যসেবাসহ অর্থনীতির সব প্রধান খাতই ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
হিস্তাদ্রুত প্রধান আর্নন বার-ডেভিড বলেছেন, একটি (যুদ্ধবিরতি) চুক্তি অন্য যেকোনো কিছুর চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
কেএএ/