আইন-আদালত

শেখ হাসিনার নির্দেশেই ইন্টারনেট বন্ধ ছিল: পলক

জুলাই-আগস্টের গণহত্যার সময় শেখ হাসিনার নির্দেশেই ইন্টারনেট বন্ধ করেছিলেন বলে জানিয়েছেন সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার সেফহোমে জিজ্ঞাসাবাদে জুনায়েদ আহমেদ পলক এমন তথ্য দিয়েছেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর আট কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির, অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল ও শুনানি নিয়ে আদালতের আদেশের পর চিফ প্রসিকিউটর এ তথ্য জানান।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে পলক স্বীকার করেছেন, ইন্টারনেট বন্ধ করে গত জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। আর ইন্টারনেট বন্ধের এ নির্দেশ দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আরও পড়ুন>>>গণহত্যার অভিযোগ/সাবেক মন্ত্রী পলককে সেফহোমে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ

তিনি আরও বলেন, গণঅভ্যুত্থানের সময় কোনো দুর্ঘটনার কারণে বা কোনো ভবনে আগুন লাগার কারণে ইন্টারনেট বন্ধ ছিল না। সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক নিজেই স্বীকারোক্তি দিয়েছেন, শেখ হাসিনার নির্দেশে দেশের ও আন্তর্জাতিক ইন্টারনেটের সব গেটওয়ে বন্ধ রাখা হয়। ইন্টারনেট বন্ধ রাখার উদ্দেশ্য ছিল গণহত্যার বিষয় যেন কেউ জানতে না পারে।

গতকাল বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় জিজ্ঞাসাবাদে এ স্বীকারোক্তি দিয়েছেন পলক। আজ চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বিষয়টি জানিয়েছেন।

জুলাইয়ে কোটা আন্দোলন চলাকালে ইন্টারনেট বন্ধ করাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে গত ১২ ডিসেম্বর জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে গতকাল বুধবার তাকে তদন্ত সংস্থায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

এফএইচ/এসআইটি/জেআইএম