আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর বি এম সুলতান মাহমুদ বলেছেন, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে যাত্রাবাড়ীতে সবচেয়ে বড় হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। এতে সরাসরি নির্দেশদাতা ছিলেন যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক এসি তানজিল আহমেদ। গত ২০ জুলাই ইমাম হোসেন তাঈমকে গুলি করেন যাত্রাবাড়ী থানার তৎকালীন ওসি (তদন্ত) জাকির হোসেন। সেখানে এসি তানজিলও উপস্থিত ছিলেন।’
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সামনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন প্রসিকিউটর বি এম সুলতান মাহমুদ।
এদিন যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক এসি তানজিল আহমেদ ও সাবেক পুলিশ কনস্টেবল মো. আকরামকে আগামী সোমবার (২০ জানুয়ারি) আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলার শুনানি শেষে এ আদেশ দেওয়া হয়।
ট্রাইব্যুনালের অন্য সদস্যরা হলেন, বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মহিতুল হক এনাম চৌধুরী। আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন প্রসিকিউটর বি এম সুলতান মাহমুদ, সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর তানভীর যোহা।
শুনানি শেষে ব্রিফিংকালে এ বি এম সুলতান মাহমুদ বলেন, ‘আইসিটি মামলায় গ্রেফতার দেখানোর জন্য প্রোডাকশন ওয়ারেন্টমূলে হাজির করার আবেদনের ওপরে আজ শুনানি হয়। শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল আগামী ২০ জানুয়ারি দুই আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে যাত্রাবাড়ীতে সংঘটিত হয় সবচেয়ে বড় হত্যাকাণ্ড। এতে সরাসরি নির্দেশদাতা ছিলেন তানজিল। ২০ জুলাই ইমাম হোসেন তাঈমকে গুলি করে হত্যা করে তৎকালীন যাত্রাবাড়ী থানার ওসি (তদন্ত) জাকির হোসেন, সেখানে তানজিলও উপস্থিত ছিলেন।’
অপরদিকে, মো. হৃদয়কে হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার আকরাম হোসেন। গত ৫ আগস্ট গাজীপুরে বিকেলে দোকান থেকে টেনে বের করে রাস্তায় এনে প্রকাশ্যে পেছন থেকে গুলিবিদ্ধ করে হত্যা করা হয় হৃদয়কে। ২৩ ডিসেম্বর গাজীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে তার জামিন হলেও পরবর্তীতে এ জামিন নামঞ্জুর করে তাকে পুনরায় কারাগারে পাঠানো হয়।
এফএইচ/এমএএইচ/এএসএম