যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্বগ্রহণের জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) এক ফোনালাপে তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সৌদি আরবের বিনিয়োগ ও বাণিজ্যকে ব্যাপকভাবে সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, যুবরাজ তার পিতা বাদশা সালমানের পক্ষ থেকে ট্রাম্পকে এই অভিনন্দন জানান। তিনি আরও বলেন, আগামী চার বছরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সৌদি আরবের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ ৬০ হাজার কোটি মার্কিন ডলারে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে, যা এর চেয়েও বেশি হতে পারে।
আরও পড়ুন>>
ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে বাংলাদেশ নিয়ে কথা হয়েছে: ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেন ট্রাম্প হুথিদের আবারও ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ ঘোষণা ট্রাম্পের২০১৭ সালে প্রথম মেয়াদে ক্ষমতায় থাকাকালে ডোনাল্ড ট্রাম্প সৌদি আরবের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করেছিলেন। তার প্রথম বিদেশ সফরও ছিল সৌদি রাজধানী রিয়াদে, যেখানে তাকে রাজকীয় সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল।
তবে, ২০১৯ সালে ইরানের ওপর দোষারোপ করা একটি হামলার ঘটনায় ট্রাম্প প্রশাসনের নীরব প্রতিক্রিয়া নিয়ে সৌদি যুবরাজের ক্ষোভ দেখা গিয়েছিল।
হোয়াইট হাউস থেকে ট্রাম্পের প্রস্থান-পরবর্তী সময়েও তার দল এবং সৌদি আরব বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও উন্নত করার চেষ্টা চালিয়েছে। এ সময় সৌদি আরব ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের বিভিন্ন প্রকল্পে বিনিয়োগ করেছে।
অন্যদিকে, ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনারের প্রাইভেট ইকুইটি ফার্মে সৌদি আরব ২০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে বলে জানা যায়।
২০২৪ সালের নির্বাচনীয় প্রচারণার সময় জো বাইডেন সৌদি আরবকে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং জামাল খাশোগি হত্যার ঘটনায় কড়া সমালোচনা করেছিলেন। তবে, বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্ক উন্নত হয়েছিল এবং তারা ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া এবং প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে একটি বড় চুক্তির বিষয়ে আলোচনা করছিল।
কিন্তু, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা শুরু হলে এই আলোচনাগুলো স্থগিত হয়ে যায়।
সূত্র: এএফপিকেএএ/