প্রচণ্ড মন খারাপের দিনগুলোতে হুটহাট দাঁড়াই স্মৃতির করিডোরে।বহুকালব্যাপী আমরা অচেনা; দেখাহীন, কথাহীন, চাওয়াহীন। এত্তসব না থাকার মাঝেও অম্লান রইলো তোমার রেখে যাওয়া স্মৃতিটুকুই।
অজান্তেই থেকে গেল ভালোবেসেযেন বইয়ের ভাঁজে রাখা পুরোনো গোলাপ পাপড়ি,যাদের আজ নিজস্ব কোনো ভাষা নেই, কথা নেই।যা আছে তা শুধুই ঘনঘোর শীত-কুয়াশাময় রাতের কারণহীন ফুঁপিয়ে ওঠা গোপন রোদন।
কী জানো, দূর আকাশের নক্ষত্রপুঞ্জির মতো স্মৃতিগুলোও এখন পুরোনো ক্ষণগুলোর প্রতিচ্ছবি।সদ্যজন্মা মা-হীন ছানা যেভাবে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকে প্রত্যাশায়স্মৃতি রোমন্থনে তেমনই তোমায় হাতড়ে ফিরি আনমনায়।
কী এমন ক্ষতি হতো,শীতের সন্ধ্যায় শাল জড়িয়ে চা খেতে খেতে গোটা এক জীবনের ছক কষলে?আমরাও কি পারতাম না কাঁধে মাথা রেখে এক থালা ভাতের গল্প বলতে বলতেগোটা একটা জীবন কাটিয়ে দিতে? বলো পারতাম না?
কিসের জন্য ছেড়ে যায় মানুষ? কেন আলাদা হয়?
সুখের জন্য?
বলো তো, আমিহীন তুমি কতটা সুখ খুঁজে পেয়েছো?
এসইউ/জিকেএস