জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) তথ্য-উপাত্ত সংশোধনের আবেদন দ্রুততার সঙ্গে নিষ্পত্তির লক্ষ্যে তিনটি ছকে বিভক্ত করা হয়েছে। সাধারণ, প্রবাসী ও চাকুরিজীবী শ্রেণিতে ভাগ করে পৃথক তিনটি তদন্ত প্রতিবেদন ‘ছক’ সচিবালয়ের অনুমোদনক্রমে চূড়ান্ত করা হয়েছে।
Advertisement
এছাড়া যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়া কোনো এনআইডি সংশোধনের আবেদন বাতিল করা যাবে না। মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের এমন নির্দেশনা পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সংস্থাটির এনআইডি অনুবিভাগের পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান নির্দেশনাটি মাঠ কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছেন।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, নাগরিক সেবা সহজ ও গতিশীল করার লক্ষ্যে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন আবেদন ‘ক, খ, গ’ ক্যাটাগরিতে বিভাজনের মাধ্যমে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং সিস্টেম (আদর্শ পরিচালন পদ্ধতি) অনুসরণ করে নিষ্পত্তি করার জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের ক্ষমতায়ন করা হয়েছে। জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা সংক্রান্ত বিভিন্ন সভার সিদ্ধান্ত এবং পরিপত্রে স্পষ্ট নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও পাঠ পর্যায়ে ‘ক, খ, গ’ ক্যাটাগরির আবেদনের নিষ্পত্তির হার কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে না পৌঁছানোয় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অসন্তোষ প্রকাশ করেছে।
Advertisement
এছাড়া অনেক আবেদন দীর্ঘদিন ধরে অনিষ্পন্ন অবস্থায় রয়েছে। এমনকি আবেদনের শ্রেণি বিভাজন না করেও রেখে দেওয়া হয়েছে। এতে নাগরিক সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। এমতাবস্থায়, নিষ্পত্তিকারী কর্মকর্তাদের ১০টি অঞ্চল থেকে ক্যাটাগরি বিভাজন বা অ্যাসাইন হওয়ার পর নিষ্পত্তিকারী কর্মকর্তাদের শুধু তার আওতাভুক্ত আবেদন নিষ্পত্তি (অনুমোদন/আংশিক অনুমোদন/বাতিল) করতে হবে; দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তার আওতাভুক্ত আবেদন নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণে অপারগ হলে আবেদন সংশ্লিষ্ট সকল কার্যক্রম (যথাযথ দলিলাদি সংযোজন ও যাচাই এবং তদন্ত/শুনানি গ্রহণ) সম্পন্ন করে পরবর্তী ধাপে পাঠাতে হবে; মাঠ পর্যায়ে তদন্ত না হলে অথবা যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়া কোনো আবেদন বাতিল করা যাবে না।
ইসি জানায়, এনআইডি সার্ভারে সাড়ে ১২ কোটির মতো নাগরিকের তথ্য রয়েছে। এদের অনেকেরই এনআইডিতে নানা ভুল থাকায় সংশোধনের আবেদন পড়ছে প্রতিদিন। দ্রুততার সঙ্গে এনআইডি সংশোধন না হওয়ার কারণে অনেকে ভোগান্তিতে পড়ছেন। জনভোগান্তি কমিয়ে এনআইডি সেবা সহজ করার জন্যই এ নির্দেশনা মাঠ প্রশাসনে পাঠিয়েছে ইসি।
এমওএস/এমকেআর/জিকেএস
Advertisement