দীর্ঘ ৫৫ মাস পর ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে ফুটবল ফিরলেও দেশের প্রধান এই ভেন্যুতে এবারও বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ আয়োজন না করার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাফুফে।
Advertisement
১৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই স্টেডিয়াম সংস্কার করে ঝকঝকা রূপ দেওয়া হলেও যেখানে ফুটবলাররা খেলবেন সেই মাঠ মানসম্মত হয়নি। বারো জাতের ঘাস লগিয়ে মাঠের বিশ্রী অবস্থা করেছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। ৪জুন ভুটান ও ১০ জুন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচের পরই পুরো ঘাস তুলে ফেলে নতুন করে ঘাস লাগানোর পরিকল্পনা করেছে বাফুফে।
যে কারণে এবার বাফুফে থেকে এই স্টেডিয়ামে ঘরোয়া ফুটবলের কোনো সিডিউল না রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে প্রফেশনাল লিগ কমিটিকে। তবে প্রফেশনাল লিগ কমিটি থেকে বাফুফের কাছে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে নতুন মৌসুমের চারটি টুর্নামেন্ট চ্যালেঞ্জ কাপ, ফেডারেশন কাপ, স্বাধীনতা কাপ ও সুপার কাপের ফাইনাল ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়াম আয়োজনের। এ বিষয়ে বাফুফে এখানো কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি।
বাফুফের টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান সাবেক তারকা ফুটবলার গোলাম গাউস বৃহস্পতিবার জাগো নিউজকে বলেছেন, 'সামনে আমাদের বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ আছে। এই মাঠে ঘরোয়া ফুটবলের ম্যাচ আয়োজন করলে আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন করা কঠিন হবে। তাছাড়া সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচের পর মাঠের বিদ্যমান ঘাস তুলে নতুন ঘাস লাগানোর পরিকল্পনা আছে। তাতে কয়েক মাস লেগে যাবে ‘
Advertisement
‘আমাদের পরের হোম ম্যাচ অক্টোবর-নভেম্বরে। তার আগেই মাঠ পরিপূর্ণভাবে তৈরি করা সম্ভব হবে। ভারতের ম্যাচ ঢাকা স্টেডিয়ামে হবে। হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচ চট্টগ্রামে আয়োজনের চিন্তা থাকলেও শেষ পর্যন্ত করতে না পারলে এই মাঠেই হবে। সেপ্টেম্বর উইন্ডোতে ইউরোপের কোনো দেশের সাথে প্রীতি ম্যাচ খেলার পরিকল্পনা আছে। সেটা হোমেও হতে পারে। সব মিলিয়ে এই মাঠের ওপর অনেক আন্তর্জাতিক ম্যাচের চাপ থাকবে। তাই ঘরোয়া খেলা আয়োজন সম্ভব হবে না বলেই মনে হয়।'
১১ থেকে ২১ জুলাই অনুষ্ঠিতব্য সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের আয়োজক বাংলাদেশ। বাফুফে ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে আয়োজনের পরিকল্পনা করেছিল। তবে এই স্টেডিয়ামের মাঠের ঘাস নতুন করে লাগাতে গেলে মেয়েদের ওই টুর্নামেন্টের জন্য বিকল্প ভেন্যু খুঁজতে হবে। চট্টগ্রামই হতে পারে মেয়েদের ওই টুর্নামেন্ট।
লিগ কমিটি তো অন্তত টুর্নামেন্টগুলোর ফাইনাল এখানে আয়োজন করতে চায়। সম্ভব? 'সেটা নির্ভর করবে মাঠের নতুন ঘাস লাগানো শেষ হওয়ার ওপর। সেটা সমন্বয় করেই করা হবে'- বলেছেন গোলাম গাউস।
আরআই/আইএইচএস/
Advertisement