আইন-আদালত

ফারুক খানের চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি ২৩ জুন

ফারুক খানের চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি ২৩ জুন

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার, কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া আওয়ামী লীগের নেতা ও সাবেক মন্ত্রী কর্নেল মুহাম্মদ ফারুক খানের স্বাস্থ্যগত বিষয় ও চিকিৎসা সংক্রান্ত আবেদনের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সংক্রান্ত বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২৩ জুন ঠিক করেছেন ট্রাইব্যুনাল।

Advertisement

ফারুক খানের আইনজীবী বুধবার (৪ জুন) অ্যাডভোকেট নিজাম উদ্দিন জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (৩ জুন) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারিক প্যানেল ফারুক খানের জামিন আবেদনের ওপর শুনানি হয়। এরপর তার জামিন ও চিকিৎসার আবেদনের পরবর্তী শুনানি ২৩ জুন নির্ধারণ করেন ট্রাইব্যুনাল।

শুনানিতে ফারুক খানের স্বাস্থ্যের ওপর কারা কর্তৃপক্ষের দেওয়া প্রতিবেদন তুলে ধরেন তার আইনজীবী মুস্তাফিজুর রহমান খান। মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ফারুক খানকে সর্বশেষ ২০ এপ্রিল ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছিল। তখন তিনি একা একাই চলতে পেরেছেন। কিন্তু এখন তিনি একা চলাফেরা করতে পারেন না। তার অবস্থার অবনতি ঘটেছে।

Advertisement

আন্তর্জাতিক নজির তুলে ধরে ফারুক খানের আইনজীবী বলেন, কারাবন্দিদের চিকিৎসা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। ফারুক খান সব সময় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসা নিয়েছেন। জামিন দিয়ে তাকে সিএমএইচে চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগ দেওয়ার এখতিয়ার এই ট্রাইব্যুনালের আছে।

এ সময় ট্রাইব্যুনাল বলেন, ফারুক খানের চিকিৎসা নিশ্চিত করা হবে। কারাগারে তাঁ চিকিৎসা চলছে। কারা কর্তৃপক্ষ বলেনি, তাকে চিকিৎসা দিতে পারবে না। তবে বাইরের সুনির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসকের সেবা নিতে চাইলে, সেই সুযোগ দেওয়া যেতে পারে।

তখন মুস্তাফিজুর রহমান এ বিষয়ে ফারুক খানের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানাতে চান। এ সময় ট্রাইব্যুনাল জামিন আবেদনের পরবর্তী শুনানি ২৩ জুন নির্ধারণ করেন।

শুনানির একেবারে শেষ পর্যায়ে ফারুক খানের আইনজীবী বলেন, আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল দেখতে চান না। তার এই কথার সঙ্গে ট্রাইব্যুনাল ও চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম একমত পোষণ করেন।

Advertisement

শুনানি শেষে সাংবাদিকদের তাজুল ইসলাম বলেন, ‘উনি (মুস্তাফিজুর) বলেছেন, এটা আওয়ামী ফ্যাসিবাদী আদালত নয়, বিপ্লবের পরে নতুন আদালত। সেই কারণে এই আদালত অনেক বেশি ফেয়ার (ন্যায্য) হবে। আদালত এটার সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন। আমরাও এর সঙ্গে একমত পোষণ করি।’

এফএইচ/এসএনআর/এএসএম