জাতীয়

ভিড় নেই চিড়িয়াখানায়

ভিড় নেই চিড়িয়াখানায়

পবিত্র ঈদুল আজহা আজ। রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা সামর্থ্য অনুযায়ী কোরবানি করছেন। তবে সকালে ও দুপুরে রাজধানীর কোথাও কোথাও বৃষ্টি বাড়ায় দুর্ভোগ। এতে কোরবানির পশুর মাংস কাটাকাটিতে সমস্যায় পড়েন অনেকেই।

Advertisement

সবমিলিয়ে কোরবানি ও আনুসঙ্গিক কাজ শেষ করতেই দিন পার হচ্ছে অনেকের। ফলে কোথাও ঘুরতে বের হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন না তারা। এ কারণে চিড়িয়াখানা ও অন্য বিনোদনকেন্দ্র গুলোতে দর্শনার্থীদের তেমন একটা ভিড় দেখা যায়নি।

শনিবার (৬ জুন) বিকেলে চিড়িয়াখানার গেটে দর্শনার্থীদের ভিড় দেখা যায়নি। ১০টি টিকিট কাউন্টারের মধ্যে ২টিতে বিক্রি হচ্ছে টিকিট। সেগুলোও প্রায় ফাঁকা।

টিকিট কাউন্টার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত দুই হাজার মতো দর্শনার্থী এসেছেন চিড়িয়াখানায়।

Advertisement

যে কোনো ছুটির দিনে চিড়িয়াখানার বাইরে অর্ধশতাধিক হকারের আনাগোনা থাকে, তবে আজ হকারের সংখ্যা ছিল কম। হাতে গোনা কয়েকজন হকারকে লেবুর সরবত, আচার, বাদাম, ফুচকা, বেলুন ও খেলনা বিক্রি করতে দেখা গেছে।

কোরবানির ঈদের প্রথম দিনে চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীর ভিড় সাধারণত কম থাকে বলে জানান হকাররা।

চিড়িয়াখানার বাইরে আচার বিক্রি করছিলেন আল আমিন। জাগো নিউজকে তিনি বলেন, কোরবানি করে অনেকেই ক্লান্ত। অনেকেই আবার এখন আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি মাংস দিতে যাচ্ছেন। ফলে আজ আর কেউ আসবে না। আগামীকাল দর্শনার্থীর ভিড় বাড়বে।

আরও পড়ুন‘৮০০ টাকা হলেও কোরবানির গরুর গোস্ত তো কিনলাম’গরুর লাথি-গুতা ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত ১২০

যারা আজ এসেছেন চিড়িয়াখানায় তাদের কেউ এসেছেন বন্ধুদের সঙ্গে, কেউবা পরিবার পরিজন নিয়ে। কোরবানির ব্যস্ততা শেষ করে অনেকেই ঘুরতে এসেছেন, কেউবা আবার চিড়িয়াখানা ঘুরে যাবেন অন্য কোনো বিনোদনকেন্দ্রে।

Advertisement

সরেজমিন দেখা যায়, অভিভাবকদের সঙ্গে ঘুরে ঘুরে বানর, পাখি, বাঘ, সিংহ, হরিণ, জেব্রা দেখছে শিশুরা। প্রচণ্ড রোদে ক্লান্ত হয়ে কেউ কেউ আবার ছাউনির নিচে বা লেকের পাড়ে গাছের ছায়ায় বিশ্রাম নিচ্ছেন।

মিরপুর ১ নম্বরের বাসিন্দা আজিম উদ্দিন এসেছেন দুই মেয়ে ও ভাতিজাকে নিয়ে। কোরবানির ব্যস্ততা শেষ করে বাচ্চাদের নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছেন। চিড়িয়াখানায় আসার কারণ হিসেবে তিনি জানান, বাচ্চাদের পশু পাখিদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার দরকার আছে।

তিনি বলেন, বেলা ১১টার মধ্যে কোরবানির কাজ শেষ করেছি। ব্যবসা করি, বাচ্চাদের সময় দিতে পারি না। তাই ক্লান্ত শরীর হলেও বাচ্চাদের নিয়ে আজ বেড়াতে আসলাম।

স্ত্রী ও বোনকে সঙ্গে নিয়ে আশুলিয়া থেকে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী হাবিবুল্লাহ খান। দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত ঘুরেছেন চিড়িয়াখানায়। এখন যাবেন আগারগাঁওয়ে বিমান যাদুঘরে।

জাগো নিউজকে তিনি বলেন, বেশিদিন ছুটি পাইনি বলে এবার বাড়ি যাওয়া হয়নি। এজন্য পরিবার নিয়ে ঘুরতে বের হলাম। এরপর ইচ্ছা আছে বিমান যাদুঘর ও জিয়া উদ্যানে যাওয়ার।

দর্শনার্থী কম থাকার কারণ হিসেবে চিড়িয়াখানার পরিচালক ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম তালুকদার জাগো নিউজকে বলেন, কোরবানির ঈদের দিনটায় তুলনামূলক দর্শনার্থী কমই থাকে। মানুষ পশু কোরবানি ও কাটাকুটিতে ব্যস্ত থাকে সারাদিন। এছাড়া বৃষ্টি ও প্রচণ্ড রোদের মতো বৈরী আবহাওয়া তো আছেই। আশা করছি আগামীকাল দর্শনার্থী বাড়বে।

এসএম/কেএসআর/জেআইএম