জর্ডানে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলে ঈদের আগের রাতে ঢাকায় ফিরেছে জাতীয় নারী ফুটবল দল। সামনে মিয়ানমার সফর। এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশের মেয়েদের প্রথম ম্যাচ ২৯ জুন বাহরাইনের বিপক্ষে।
Advertisement
হাতে সময় কম। তাই তো ঈদের মধ্যে সবাইকে ক্যাম্পেই রেখেছে বাফুফে। অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার প্রান্তিসহ দুই-তিনজন মাত্র দুইদিনের ছুটিতে গেছেন। রাতের মধ্যেই তারা বাফুফে ভবনের ক্যাম্পে যোগ দেবেন। সোমবার থেকে অনুশীলন শুরু করবেন পিটার বাটলার।
কাগজ-কলমের শক্তিতে অনেক এগিয়ে থাকা ইন্দোনেশিয়া ও জর্ডানের বিপক্ষে ড্র করে ফিরেছে আফঈদারা। একটা পরিবর্তিত দল নিয়ে দলের এই পারফরম্যান্স অবশ্যই প্রশংসনীয়।
বিশেষ করে সিনিয়র কয়েকজন ফুটবলারকে বাদ দিয়ে কোচ যে ঝুঁকি নিয়েছিলেন, সেই চ্যালেঞ্জ ভালোভাবেই টপকে গিয়েছেন তিনি। এখন তার সামনে সবচয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এশিয়ান কাপ বাছাই।
Advertisement
২৩ জুন শুরু হবে এশিয়ান কাপ বাছাই। বাংলাদেশ, বাহরাইন, তুর্কমেনিস্তান ও স্বাগতিক মিয়ানমারকে নিয়ে 'সি' গ্রুপের খেলা শুরু হবে ২৯ জুন। প্রথম দিনই বাংলাদেশের ম্যাচ, প্রতিপক্ষ বাহরাইন।
মিয়ানমারের এই গুরুত্বপূর্ণ মিশন সামনে রেখে আফঈদাদের জন্য আরো দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ আয়োজনের চেষ্টা করছে বাফুফে। মিয়ানমার যাওয়ার পথে দল থাইল্যান্ডে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে পারে বাংলাদেশ।
রোববার সেই আভাস দিয়ে বাফুফের নারী উইংয়ের চেয়ারপার্সন মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেছেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি মিয়ানমার যাওয়ার আগে দল থাইল্যান্ডে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে। তবে এখনো চূড়ান্ত হয়নি সেখানে কাদের বিপক্ষে খেলবে। কথাবার্তা চলছে। সবকিছু ঠিক হলেই দল কবে ঢাকা ছাড়বে তা বলা যাবে। থাইল্যান্ডে ম্যাচ হওয়ার ওপর নির্ভর করছে বাংলাদেশ দল কবে মিয়ানমারের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়বে।’
বাংলাদেশ এশিয়ান কাপ বাছাইকে গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে। বিশেষ করে জর্ডানে ম্যাচ দুটি ড্র করায় বাংলাদেশ গ্রপসেরা হওয়ার প্রত্যাশা নিয়েই খেলবে। এই যেমন রোববার অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার প্রান্তি জাগো নিউজকে বলছিলেন, ‘জর্ডানের ম্যাচ দুটির অভিজ্ঞতা আমাদের অনেক কাজে দেবে মিয়ানমার সফরে। আমরা কোচের পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে পারলে ভালো কিছু করতে পারবো বলেই বিশ্বাস করি।’
Advertisement
আরআই/এমএমআর/জেআইএম