আন্তর্জাতিক

পশ্চিমবঙ্গে করোনার প্রাদুর্ভাব, জরুরি বৈঠকে মমতা 

পশ্চিমবঙ্গে করোনার প্রাদুর্ভাব, জরুরি বৈঠকে মমতা 

ভারতসহ পশ্চিমবঙ্গজুড়ে ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে সোমবার (৯ জুন) রাজ্য সরকারের সচিবালয় নবান্নে থেকে রাজ্যবাসীর উদ্দেশ্যে বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। কোভিড নিয়ে এখনই আতঙ্কিত হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।

Advertisement

এদিন কোভিড-১৯ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য দপ্তরের সব বিভাগের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। হাসপাতালগুলোতে আগাম প্রস্তুতি রাখার বিষয়ে আলোচনা হয় বৈঠকে।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা ব্যানার্জী বলেন, আমরা কোভিড শুনলে ভয় পাই। পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য দপ্তর ও পুলিশ প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে বৈঠক করে প্রস্তুতিটা সেরে রাখলাম। আশা করছি, আগের মতো প্যান্ডেমিক আর হবে না। তবে পরিবর্তিত পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সব ধরনের প্রস্তুতি রাখা হচ্ছে।

আরও পড়ুন>>

Advertisement

পশ্চিমবঙ্গে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পশ্চিমবঙ্গে আ’লীগ নেতা ও পলাতক এসপিসহ ৩ বাংলাদেশি আটক বাংলাদেশিদের অভাবে ধুঁকছে কলকাতা নিউমার্কেট

অযথা আতঙ্কিত না হওয়ার বা আতঙ্ক না ছড়ানো পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। কোনো আতঙ্ক তৈরি করা নয়। যদি বাই চান্স সে রকম কিছু হয়, আমাদের প্রস্তুতি থাকবে। এ নিয়ে ভয় পাওয়ার কারণ নেই।

মমতা ব্যানার্জী আরও বলেন, কিছু ক্ষেত্রে যাদের কো-মরবিডিটি আছে, তাদের তো এটা একটা ফ্যাক্টর। তারা ডাক্তার দেখান, চিকিৎসা করান। সরকার আপনাদের পাশে ছিল, আছে, থাকবে। চেষ্টা করুন সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে। তাতে আপনাদের অযথা বেশি টাকা খরচ হবে না। এক্ষেত্রে যা যা প্রয়োজন তা সব সরকারি হাসপাতালে আছে। এখন তো সকলেই প্রায় ভ্যাকসিন নিয়ে নিয়েছে।

তিনি বলেন, ভারতবর্ষে ১৩০ কোটি মানুষ বসবাস করেন, সেখানে হাতে গোনা চার থেকে পাঁচ হাজার কেস সারা ভারতবর্ষজুড়ে হয়েছে। এটি এক ধরনের ইনফ্লুয়েঞ্জা। তাই বলি, কেউ ভয় পাবেন না। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

উল্লেখ্য, কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গে একদিনে করোনা রোগীর সংখ্যা ৭১ জন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৯৩ জন। রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে যে কয়জন করোনা রোগী ভর্তি হয়েছেন, তাদের মধ্যে একজন বাদে সবাই কয়েকদিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরে গিয়েছেন।

Advertisement

ডিডি/কেএএ/