বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ২০২৩-২০২৫ চক্রের ফাইনালের প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া মাত্র ২১২ রানে গুটিয়ে দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। পেসার কাগিসো রাবাদা ৫১ রানে দখল করেছেন ৫ উইকেট।
Advertisement
বুধবার ঐতিহাসিক লর্ডস স্টেডিয়ামে ম্যাচের প্রথম দিনে অসি ব্যাটারদের নাস্তানাবুদ করে ভক্তদের প্রশংসা কুড়িয়েছেন রাবাদা। দুর্দান্ত স্পেলে টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বোচ্চ উইকেটশিকারীদের তালিকায় কিংবদন্তি অ্যালেন ডোনাল্ডকে পেছনে ফেলে চতুর্থস্থানে উঠে এসেছেন ডানহাতি পেসার।
তবে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের ইতিহাসে কাইল জেমিসনের পর দ্বিতীয় বোলার হিসেবে ফাইফার পূর্ণ করেও সন্তুষ্ট নন রাবাদা। যদি অস্ট্রেলিয়াকে আরও আগে অলআউট করতে পারতেন, তাহলেই ৩০ বয়সী পেসারের মনে শান্তি লাগতো।
প্রথম দিনের খেলা শেষে রাবাদা বলেন, ‘২১২ রান, আমরা সেটা নেব। তবে আমরা মনে করেছিলাম ওদের ১৬০ এর মধ্যেই অলআউট করে ফেলব (সেটি হয়নি)। কিন্তু খেলার এমনটাই স্বভাব।’
Advertisement
অস্ট্রেলিয়া ১৪৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল। এরপর প্রথম ইনিংসে হাল ধরেন অলরাউন্ডার বিউ ওয়েবস্টার। তার কার্যকর ৭২ রানের ইনিংস দলকে গুরুত্বপূর্ণ স্কোর এনে দেয়।
ওয়েবস্টারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন রাবাদা। তিনি মনে করেন, প্রথম দিকে কষ্ট করলেও ধীরে ধীরে আত্মবিশ্বাস খুঁজে পান এই ব্যাটার।
রাবাদা বলেন, ‘হ্যাঁ, শুরুটা ওর (ওয়েবস্টার) মোটেই ভালো হয়নি। মনে হচ্ছিল যেকোনো বলেই আউট হয়ে যাবে। কিন্তু আমার মনে হয় ওর ইতিবাচক মানসিকতাই ওকে টেনে নিয়ে গেছে।’
শেষ পর্যন্ত ওয়েবস্টারকে আউট করেন রাবাদা নিজেই। এরপর টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার চতুর্থ সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির বনে যান তিনি।
Advertisement
নিজের মাইলফলক প্রসঙ্গে বলেন রাবাদা বলেন, ‘এই তালিকায় নিজের নাম দেখতে পারা বিশেষ কিছু। ছোটবেলায় যখন দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে খেলার স্বপ্ন দেখতাম, তখন যারা আমাদের আগে খেলেছেন, তাঁদের পারফরম্যান্স দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছি। এখন তাঁদের সঙ্গে একই তালিকায় নিজের নাম দেখতে পারাটা দারুণ ব্যাপার। আশা করি এটা আরও অনেকদূর এগিয়ে যাবে।’
দিনের শেষদিকে রাবাদাদের জবাব দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান দুই পেসার মিচেল স্টার্ক ও জশ হ্যাজেলউড। যে কারণে অস্ট্রেলিয়াকে অল্প রানে অলআউট করেও ব্যাকফুটে চলে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৪ উইকেটে ৪৩ রান নিয়ে দিনের শেষ করে প্রোটিয়ারা।
ব্যাটারদের জন্য চ্যালেঞ্জিং কন্ডিশন নিয়ে রাবাদা বলেন, ‘আমি মনে করি বলটা বেশ ঘুরছে, কখনো কখনো স্লোপ থেকে বেশ ভালো সুইংও পাচ্ছে। তবে তারপরও মনে হয় ব্যাটাররা সেট হয়ে যেতে পারে। আপনি যদি ধৈর্য ধরে ঠিক জায়গায় বল করে যান, তাহলে সুযোগ তৈরি হবেই।’
‘আমরা এখন ৪৩/৪, যা একেবারেই শুরুটা যেরকম চেয়েছিলাম, সেরকম নয়। তবে এখনও অনেক খেলা বাকি। আমরা লড়াই চালিয়ে যাব’- যোগ করেন প্রোটিয়া পেসার।
এমএইচ/এমএস