ইরাকের দূতাবাস থেকে কর্মীদের আংশিকভাবে সরিয়ে নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির বেশ কিছু সরকারি সূত্র জানিয়েছে, নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে বাগদাদে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের অপ্রয়োজনীয় কর্মী এবং তাদের স্বজনদের ইরাক থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে। খবর বিবিসির।
Advertisement
ঠিক কী কারণে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সে বিষয়টি স্পষ্ট করেননি। তবে তারা বলছেন যে, ইসরায়েল ইরানে অভিযান চালাতে প্রস্তুতি নিচ্ছে।
কর্মকর্তারা বলছেন, এ কারণেই অনেক মার্কিন নাগরিককে ওই অঞ্চল ছেড়ে চলে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তারা ধারণা করছেন যে, ইরান ইরাকের কিছু মার্কিন স্থাপনায় হামলা চালাতে পারে।
ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে মার্কিন আলোচনা স্থগিত হয়ে যাওয়ার পরই এমন পদক্ষেপ নিলো যুক্তরাষ্ট্র। এদিকে মধ্যপ্রাচ্যে নিযুক্ত মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফ রোববার ইরানের সঙ্গে তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করার পরিকল্পনা করছেন বলে জানানো হয়েছে।
Advertisement
উইটকফ মাস্কটে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচির সঙ্গে দেখা করবেন। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেন, আমরা আমাদের সব দূতাবাসে কর্মীদের অবস্থান ক্রমাগত মূল্যায়ন করছি।
তিনি বলেন, আমাদের সর্বশেষ বিশ্লেষণের ভিত্তিতে, আমরা ইরাকে আমাদের মিশনের কার্যক্রম কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
কেনেডি সেন্টারে বক্তৃতা দিতে গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, আমেরিকানদের এই অঞ্চল ত্যাগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কারণ এটি একটি বিপজ্জনক জায়গা হতে পারে এবং দেখা যাক কী হয়।
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্যে পাচারের অর্থ ফেরত আনতে পারবে অন্তর্বর্তী সরকার? পাচার অর্থ ফেরাতে যুক্তরাজ্যের সহযোগিতা চান প্রধান উপদেষ্টাট্রাম্প আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র চায় না ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করুক। আমরা তা হতে দেব না। তেহরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি বন্ধ করার জন্য একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর বিষয়েও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
Advertisement
টিটিএন