অব্যাহতভাবে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তরে সংখ্যা। শুক্রবার (১৩ জুন) ১৫৯ জন আক্রান্তের পাশাপাশি ৫ জনের মৃত্যুর খবরও দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর মধ্যেও ডেঙ্গুর সচেতনতার অভাব নাগরিকদের মধ্যে। বিশেষজ্ঞরা সব সময় ডেঙ্গুর মূল উৎপাদক এডিস মশার প্রজনন উৎসগুলো বন্ধে উৎসাহিত করেন। অথচ মানুষ মানছেই না।
Advertisement
শুক্রবার রাজধানীর মিরপুর মাজার রোড, গাবতলী বাস টার্মিনাল ও আশপাশরে এলাকা ঘুরে মনে হয়েছে এক একটি কাউন্টার ও আশপাশ যেন এডিস মশার বাসা। সড়কের পাশে, তেলের পাম্পে বা কাউন্টারের সামনে পানি জমে থাকে। বেশিরভাগ জায়গায় পলিথিনের ব্যাগ পড়ে আছে। বৃষ্টি হলেই এতে পানি জমে মশার প্রজনন হবে।
অথচ ইমিরেটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ জাগো নিউজকে বলেন, এডিস মশা জমাট পানিতে ডিম পাড়ে। মশার বংশবৃদ্ধি হয়। আমাদের ফ্রিজের নিচে, এসির নিচে, ফুলের টব, ছাদ ও বাসার চারপাশে যেন পানি জমে না থাকে। রাস্তার ধারে অনেক জায়গায় পানি জমে থাকে। যত্রতত্র পড়ে থাকা পরিত্যক্ত টায়ার, ডাবের খোসা বা চিপসের প্যাকেটে যেন পানি জমে না থাকে সে বিষয়গুলোর প্রতি নজরদারি বাড়াতে হবে। এগুলোর জন্য প্রশাসনকে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক বে-নজির আহমেদ বলেন, বৃষ্টি হলেই ডেঙ্গু বাড়ে। এখন বৃষ্টি হচ্ছে। এই সময়টাই ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। ডেঙ্গু থেকে বাঁচার প্রধানতম উপায় হলো এডিস মশার কামড় থেকে নিজেকে রক্ষা করা। এখন এডিস মশা থেকে বাঁচার কয়েকটা উপায় আছে- কেউ বহুতল ভবনে বসবাস করলে ভবনের ভেতরে বা আশপাশে যেন পানি না জমে সেটি খেয়াল রাখতে হবে। জমলে ফেলে দিতে হবে। ঘরের ভেতরে যেন পানি না জমে। প্লাস্টিকের ড্রাম বা মাটির মটকাতে অনেকে পানি সংরক্ষণ করেন। এসব পানি ৩দিনের বেশি রাখা যাবে না। ৩দিনও রাখতে হবে ঢাকনা দিয়ে। না হয় এডিস মশা এসে ডিম পাড়বে। এডিস মশা সাধারণত ভোরে এবং সন্ধ্যায় কামড় দেয়। এজন্য সাবধান থাকতে হবে।
Advertisement
এসইউজে/এমআইএইচএস/এএসএম