১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনে রেকর্ড ২০ হাজার ৬৮৮ জন প্রার্থী ফেল করেছেন। প্রিলি ও লিখিত পরীক্ষায় পাস করেও মৌখিকে ফেল করায় তারা শিক্ষক নিবন্ধন সনদ অর্জন করতে পারেননি। ফলে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এক লাখের বেশি শিক্ষক নিয়োগে আসন্ন ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনও করতে পারবেন না তারা।
Advertisement
নিবন্ধন পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফলে ফেল করা প্রার্থীদের অভিযোগ, ইচ্ছা করে তাদের ফেল করিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন তাদের দাবি, ফলাফল পুনর্মূল্যায়ন করে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়া সব প্রার্থীকে পাস ঘোষণা করে তাদের শিক্ষক নিবন্ধন সনদ দেওয়া হোক।
তাদের এ দাবি না মানলে রোববার (১৫ জুন) সকাল ১০টা থেকে রাজধানীতে অবস্থিত বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যায়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) কার্যালয়ে আমরণ অনশনে বসবেন তারা। দাবি না মানা পর্যন্ত এ কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।
শনিবার (১৪ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান মৌখিক পরীক্ষায় দিয়েও ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় ফেল করা একদল প্রার্থী।
Advertisement
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ফেল করা প্রার্থীরা জানান, শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলি ও লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর এবারই সর্বোচ্চ সংখ্যক প্রার্থীকে ফেল করানো হয়েছে। যেসব ভাইভা বোর্ডে অস্বাভাবিকভাবে পাসের হার কম হয়েছে, সেখানকার ফল পুনর্মূল্যায়ন বা তদন্ত করা হোক।
আরও পড়ুনশিক্ষক নিবন্ধনে থাকবে শুধু লিখিত-মৌখিক পরীক্ষা, বাদ যাচ্ছে প্রিলিএক লাখেরও বেশি শিক্ষক নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি ১৬ জুনতারা বলেন, আমরা যারা ভাইভায় অংশগ্রহণ করেছিলাম, তাদের সবাইকে সনদ দিতে হবে। যদি তা না দেওয়া হয়, তাহলে ১৫ জুন থেকে আমরা আমরণ অনশন কর্মসূচি করবো। আমরা সনদ না নিয়ে মাঠ ছাড়বো না।
প্রার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, ভাইভায় কোনো বোর্ডে ৩০ জনের মধ্যে ২৯ জনকে ফেল করানো হয়েছে। আবার অনেক বোর্ড আছে, যেখানে ২৭ জনকে ফেল করানো হয়েছে। মাত্র তিনজনকে পাস করানো হয়েছে। একই বোর্ডে এত ফেল করানোর যৌক্তিকতা যাচাই করে দেখা দরকার। বিষয়গুলো সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।
গত ৪ জুন বিকেলে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়। এতে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হন ৬০ হাজার ৫২১ জন প্রার্থী। ফেল করেন ২০ হাজার ৬৮৮ জন।
Advertisement
জানা যায়, ২০২৩ সালের ২ নভেম্বর ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। এ পরীক্ষায় অংশ নিতে রেকর্ড প্রায় ১৯ লাখ প্রার্থী আবেদন করেন। ২০২৪ সালের ১৫ মার্চ এ নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রিলিতে পাস করেন ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৯৮১ জন প্রার্থী।
২০২৪ সালের ১২ ও ১৩ জুলাই ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়। লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয় একই বছরের ১৪ অক্টোবর। এতে পাস করেন ৮৩ হাজার ৮৬৫ জন। তাদের মধ্যে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেন ৮১ হাজার ২০৯ জন।
এএএইচ/ইএ/জেআইএম