ময়মনসিংহে সপ্তাহের ব্যবধানে মাছের দাম কমেছে। তবে বেড়েছে সবজির দাম। মাংস ও ডিমের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) বিকেলে শহরের ঐতিহ্যবাহী মেছুয়া বাজারে এমন চিত্র দেখা যায়।
ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত সপ্তাহের তুলনায় শসা ও চিচিঙ্গার দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। গত সপ্তাহ এগুলো ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও এখন ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বেগুন ও ঢ্যাঁড়শের দামও কেজিতে ১০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। গত সপ্তাহে বেগুন ৫০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন ৬০, পটোল ৩০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ঝিঙে ৫০, বরবটি ৫০, সজিনা ৭০, গাজর ৭০, করলা ৫০, টমেটো ৫০, ধুন্দল ৪০, কাঁচামরিচ ৫০ ও কাঁচা পেপে ৪০ টাকা কেজি, ফুলকপি ৫০ টাকা পিস ও লেবু আট টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে।
তবে মাছের দাম কমেছে। গত সপ্তাহে মৃগেল ২২০-২৭০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও এখন ২০০-২৫০, রুই ও কাতলা ২৮০-৩৫০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন ২৬০-৩৩০, সিলভার কার্প ২০০-২৭০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন ১৯০-২৪০, কালবাউশ ২২০-২৮০, শিং ২৫০-৫৭০, পাবদা ৩১০-৩৭০, শোল ৫৩০-৮১০, ট্যাংরা ৪৬০-৭৫০, গুলশা ৩৫০-৯৫০, টাকি ৩৬০-৫৩০, তেলাপিয়া ১৬০-২৪০, পাঙাশ ১৬০-১৯০ এবং কৈ ২২০-৩৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
Advertisement
মুরগি ও ডিমের বাজার স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। ঈদের পর গত সপ্তাহে বাজারে গরু ও খাসির মাংস না পাওয়া গেলেও এখন ঈদের আগের দামে স্থিতিশীল অবস্থায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে ব্রয়লার মুরগি ১৫০, সোনালি ২৯০ ও সাদা কক ২৭০ টাকা কেজি, ফার্মের মুরগির ডিম ৪৫ টাকা হালি, হাঁসের ডিম ৬০ টাকা, খাসির মাংস ১১৫০ এবং গরুর মাংস ৭৫০ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
সবজি কিনতে আসা নাদিম মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, ধীরে ধীরে সবজির দাম বাড়ানো হয়েছে। গত সপ্তাহে দাম কিছু কমানো হলেও এখনো ন্যায্য দামে বিক্রি হচ্ছে না। দাম আরও কমানো প্রয়োজন।
মাছ কেনার সময় দামাদামি করছিলেন আব্দুল আজিজ। তিনি বলেন, মাছ বিক্রেতারা সিন্ডিকেট করছেন। তারা বিভিন্ন সময় সরবরাহ কমের অজুহাতে দাম বাড়িয়ে ক্রেতাদের ঠকাচ্ছেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা।
সবজি বিক্রেতা নজরুল মিয়া বলেন, ‘সবজির বর্তমান যে দাম তাতে ক্রেতারা খুব ক্ষুব্ধ হচ্ছে না। তবে কয়েকদিনের মধ্যে দাম আরও কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
Advertisement
এ বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ময়মনসিংহের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুস ছালাম বলেন, বর্তমানে বাজারে অভিযান চালানো হচ্ছে না। তবে আমাদের নজরদারি রয়েছে। যে কোনো সময় অভিযান চালানো হবে। অহেতুক দাম বাড়িয়ে ক্রেতাদের ঠকানোর প্রমাণ মিললে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কামরুজ্জামান মিন্টু/এসআর/জিকেএস