একসময় জাতীয় লিগের দীর্ঘ পরিসরের পাশাপাশি ৫০ ওভারের টুর্নামেন্টও হতো। সেটা প্রথম কয়েক বছর নিয়মিতই হয়েছে। তেমন নিয়মিত না হলেও বার কয়েক জাতীয় লিগের সাথে টি-টোয়েন্টি আসরও বসেছে। অনেক বছর বিরতি দিয়ে গতবছর এনসিএল টি-টোয়েন্টি জাতীয় লিগ হয়েছিল।
এবারও সেই আসর অনুষ্ঠিত হবে। বিসিবির টুর্নামেন্ট কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি থেকে এবারের এনসিএল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আয়োজনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়েছে।
ওই কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান মিনহাজুল আবেদিন নান্নু আজ রোববার মিডিয়াকে জানিয়েছেন, সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে এবারের এনসিএল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট মাঠে গড়াবে এবং রাজধানী ঢাকার শেরে বাংলা স্টেডিয়ামসহ চট্টগ্রাম ও সিলেটেও খেলা হবে। আগেরবারের মত আট বিভাগীয় দল অংশ নিবে এবারের এনসিএল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে।
টুর্নামেন্ট কমিটির চিফ কো-অর্ডিনেটর প্রোগ্রাম মিনহাজুল আবেদিন নান্নু প্রতিযোগিতা শুরুর দিন আনুষ্ঠানিকভাবে না জানালেও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সেপ্টেম্বরের ১৫ তারিখ শুরু হবে এবারের এনসিএল টি-টোয়েন্টি।
খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, এনসিএল টি-টোয়েন্টি যখন চলবে একই সময় আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হবে এশিয়া কাপ ক্রিকেট। বাংলাদেশ জাতীয় দলে থাকা ক্রিকেটাররা কি তাহলে এবারের এনসিএল টি টোয়েন্টি অংশ নিতে পারবেন না?
আয়োজকদের ধারণা, টিম বাংলাদেশের ক্রিকেটার যারা এশিয়া কাপে অংশ নিয়েও এনসিএল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট খেলতে পারবেন। কারণ, আরব আমিরাতে এশিয়া কাপ শুরু হবে ৯ সেপ্টেম্বর। আর শেষ ২৮ সেপ্টেম্বর।
৮ দলের এনসিএল সিঙ্গেল লিগ হলেও শেষ করতে প্রায় তিন সপ্তাহ লাগবে। তার মানে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে গিয়ে ঠেকবে এনসিএল। এদিকে ১১ সেপ্টেম্বর হংকংয়ের বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে এবারের এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি আসর শুরু করবে বাংলাদেশ।
১৬ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তানের সাথে শেষ ম্যাচ লিটন বাহিনির। বাংলাদেশ সুপার ফোরে পৌঁছে গেলেও ২৮ সেপ্টেম্বর খেলা শেষ হয়ে যাবে।
তাহলেও এনসিএলে শেষ এক সপ্তাহে গড়ে ২/৩ টা করে ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। আর শেষ চারে পৌঁছাতে না পারলে প্রায় পুরো এনএসএল টি-টোয়েন্টি আসরই খেলার সুযোগ থাকবে এশিয়া কাপ স্কোয়াডের ক্রিকেটারদের।
এদিকে টুর্নামেন্ট কমিটির চিফ কো অর্ডিনেটর প্রোগ্রাম নান্নু শুধুই জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের নিয়ে ভাবছেন না। তার কথা, যে ১৫ ক্রিকেটার এশিয়া কাপ খেলবে, তাদের বাইরেও ৮ বিভাগীয় দলে ১২০ জনের ওপর ক্রিকেটার থাকবে। তাদের দিকেও নজর দিতে হবে। তারাই ভবিষ্যত।
তাই নান্নুর কথা, দেখুন! ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটটা না হওয়া পর্যন্ত কিন্তু বলা মুশকিল। কিছু ভালো মানের পারফরমার যদি পাওয়া যায়। এখানে অনেক খেলোয়াড়ের টি-টোয়েন্টি পারফরম্যান্স কিন্তু আপ টু দ্য মার্ক না। সে জন্য কিছু কিছু খেলোয়াড়কে দেখার জন্য অবশ্যই একটা ক্ষেত্র তৈরি হবে। এখানে কিছু ভালো পারফরমার পাওয়া গেলে তাদেরকে নিয়ে তৈরি করা যাবে। যেহেতু ৬ মাস সময় পাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য। আমার মনে হয়, নির্বাচকদের জন্য একটা সুযোগ হবে খেলোয়াড়দের দেখার বা তৈরি করার।
এআরবি/আইএইচএস/