রংপুরের বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে পোলট্রি মুরগির ডিমের দাম। সেইসঙ্গে দাম বেড়েছে করলাসহ কিছু সবজির। এছাড়া চাল, ডাল, তেল, মাছ ও মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রংপুর নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, পোলট্রি মুরগির ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৪২ থেকে ৪৪ টাকা দরে। যা গত সপ্তাহে ছিল ৩৮ থেকে ৪০ টাকা। তবে পাড়া মহল্লার দোকানগুলোতে আজ প্রতিহালি ৪৫ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করতে দেখা গেছে।
পাইকারি বাজারে একশত ডিম বিক্রি হচ্ছে ৯৩০ টাকা থেকে ১০৫০ টাকা পর্যন্ত। সিটি বাজারের পাইকারি ডিম বিক্রেতা খায়রুল ইসলাম বলেন, খামার পর্যায়ে ডিমের দাম বাড়ানো হয়েছে।
খামার থেকে ডিম কিনে ৫০-১০০ টাকা বেশি দরে পাইকারি বিক্রি করি। খুচরা পর্যায়ে গিয়ে সেই ডিমের দাম আরও বেড়ে যায়। বাজারে আমদানির তুলনায় চাহিদা বেশি থাকলে দাম বাড়ে।
এদিকে সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি টমেটো গত সপ্তাহের মতো ১৫০-১৬০ টাকা, গাজর ১৫০-১৬০ টাকা, কাঁচামরিচ ১৫০-১৬০ টাকা, কাঁকরোল ২৫-৩০ টাকা থেকে বেড়ে ৩৫-৪০ টাকা, ঝিংগা ৩০-৩৫ টাকা থেকে বেড়ে ৩৫-৪০ টাকা, চালকুমড়া (আকার ভেদে) ৩০-৪০ টাকা, কাঁচকলা ২০-২৫ টাকা হালি, দুদকুষি ৩০-৩৫ টাকা থেকে বেড়ে ৩৫-৪০ টাকা, সজনে ১৫০-১৬০ টাকা, চিকন বেগুন আগের মতোই ৩৫-৪০ টাকা, গোল বেগুন ৭০-৮০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৩০-৩৫ টাকা, পটল ২৫-৩০ টাকা থেকে বেড়ে ৩৫-৪০ টাকা, বরবটি ৪০-৫০ টাকা, পেঁপে আগের মতোই ২৫-৩০ টাকা, শসা ৬০-৭০ টাকা থেকে কমে ৪৫-৫০ টাকা, করলা ৩০-৪০ টাকা লাফিয়ে হয়েছে ৭০-৮০ টাকা, লাউয়ের (আকার ভেদে) দাম বেড়ে হয়েছে ৪০-৫০ টাকা, কচুরলতি ৪০-৪৫ টাকা, কচুর বই ৩০-৩৫ টাকা, লেবুর হালি ১০ টাকা, ধনেপাতা ২০০-২৫০ টাকা এবং মিষ্টি কুমড়া ২৫-৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অপরদিকে পেঁয়াজ আগের মতোই ৫৫-৬০ টাকা, আদা ১২০-১৪০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৪০-১৬০ টাকা, দেশি রসুন আগের মতোই ১২০-১৪০ টাকা, শুকনা মরিচ ৩৫০-৪০০ টাকা এবং সব ধরনের শাক ১০-২০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে কার্ডিনাল আলু গত সপ্তাহের মতোই ১৮-২০ টাকা, শিল আলু ৪৫-৫০ টাকা, ঝাউ আলু ৪০-৪৫ টাকা, দেশি সাদা এবং বগুড়ার লাল পাগড়ি ৩০-৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মুলাটোল আমতলা বাজারের সবজি বিক্রেতা ভুট্টু মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, সপ্তাহের ব্যবধানে কিছু সবজির দাম বেড়েছে। তবে গত বছরের তুলনায় এই সময়ে সবজির দাম অনেকটাই কম আছে। দুই- একটা সবজির দাম বাড়তি থাকলেও অধিকাংশ সবজি ৫০ টাকার নিচে মিলছে। এতে ক্রেতারা নাগালের মধ্যেই কিনতে পারছেন।
এদিকে চালের বাজার ঘুরে দেখা যায়, স্বর্ণা (মোটা) গত সপ্তাহের মতো ৫২-৫৪ টাকা, স্বর্ণা (চিকন) ৫৮-৬০ টাকা, বিআর২৮- ৭০-৭৫ টাকা, বিআর২৯- ৬০-৬৫ টাকা, জিরাশাইল ৭২-৭৫ টাকা, মিনিকেট ৮৫-৯০ এবং নাজিরশাইল ৯০-৯৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মুরগির বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগি গত সপ্তাহের তুলনায় সামান্য বেড়ে ১৬০-১৭০ টাকা, পাকিস্তানি সোনালি মুরগি ২৯০-৩০০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৪৮০-৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে গরুর মাংস অপরিবর্তিত ৭২০-৭৫০ টাকা এবং ছাগলের মাংস ১০০০-১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া খুচরা বাজারে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল আগের মতো ১৯০ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৮০-২০০ টাকা, মসুর ডাল (চিকন) আগের মতোই ১৩০-১৪০ টাকা, মাঝারি ১০০-১১০ টাকা, মুগডাল ১৬০-১৮০ টাকা, বুটের ডাল ১২০-১৩০ টাকা, খোলা চিনির দাম কমে ১১০-১১৫ টাকা, ছোলাবুট ১০০-১১০ টাকা, প্যাকেট আটা ৫০-৫৫ টাকা, খোলা আটা ৪০-৪৫ টাকা এবং ময়দা ৬৫-৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, আকারভেদে রুইমাছ ৩০০-৩৮০ টাকা, টেংরা ৪০০-৫৬০ টাকা, মৃগেল ২২০-২৫০ টাকা, কারপু ২৫০-২৬০ টাকা, পাঙাশ ১৫০-২০০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০-২৫০, কাতল ৩০০-৫০০ টাকা, বাটা ১৮০-২৪০ টাকা, শিং ৩০০-৪০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৮০-২৬০ টাকা এবং গছিমাছ ৮০০-১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
জিতু কবীর/এমএন/জেআইএম