গাজায় মঙ্গলবার সকাল থেকে আরও কমপক্ষে ৬২ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এর মধ্যে ১৯ জন ত্রাণের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। জরুরি মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে হামলায় বিরতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েও ফিলিস্তিনিদের ওপর আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরায়েল। খবর আল জাজিরার।
এদিকে প্রথমবারের মতো গাজায় ‘বাস্তব দুর্ভিক্ষ’ চলছে বলে স্বীকার করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি স্পষ্টভাবে বলেছেন, ইসরায়েল গাজায় ‘এক বিন্দু খাবার’ আটকানো যাবে না- সবকিছু ঢুকতে দিতে হবে।
যুক্তরাজ্য সফরের সময় সোমবার (২৮ জুলাই) এক সাংবাদিক সম্মেলনে ট্রাম্প এমন মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, আমরা অনেক মানুষের জীবন বাঁচাতে পারি- বিশেষ করে কিছু শিশুদের। ওদের দেখে বোঝা যায়, সেটা সত্যিকারের ক্ষুধা। এটা বানানো নয়, আমরা দেখছি এবং এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সম্প্রতি দাবি করেছিলেন, গাজায় কোনো দুর্ভিক্ষ নেই- এ কথা সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, টেলিভিশনে যেটা দেখছি, তা দেখে বলা যায় না যে সেখানে দুর্ভিক্ষ নেই। শিশুদের দেখেই বোঝা যায় ওরা অভুক্ত।
অপরদিকে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস সতর্ক করে বলেছেন, গাজায় যা ঘটছে তা সহ্য করার মতো নয়। অবরুদ্ধ এই উপত্যকায় ভয়াবহ খাদ্য সংকট, অনাহার এবং অপুষ্টির বিষয়েও সতর্ক করেছে বিভিন্ন সংস্থা।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েল। সে সময় থেকে এখন পর্যন্ত অবরুদ্ধ এই উপত্যকায় ৫৯ হাজার ৯২১ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে দখলদার বাহিনী। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ১ লাখ ৪৫ হাজার ২৩৩ জন।
টিটিএন