শাপলা চাষ করবেন যেভাবে

শিরোনাম দেখে কি অবাক লাগছে? লাগতেই পারে। কারণ আমরা দেখে আসছি, বর্ষাকালে খালে, বিলে, পুকুরে শাপলা প্রাকৃতিক ভাবেই জন্মায়। কিন্তু না, শাপলা চাষও করা যায়। বাড়ির আঙিনায় বা আশপাশে চাষ করতে পারেন। তাহলে জেনে নিন উপায়—
বীজ বা মূল
শাপলা সাধারণত বীজ বা মূল থেকে লাগানো যায়। তাই প্রথমেই বীজ বা মূল সংগ্রহ করতে হবে। শাপলার শেকড় ১৫ ফুট পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। তাই খেয়াল রাখতে হবে, যেন আশেপাশে পর্যাপ্ত জায়গা থাকে।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
স্থান নির্বাচন
শাপলা চাষের জন্য প্রথমে উপযুক্ত স্থান বেছে নিতে হবে। যা কমপক্ষে ৬-৮ ফুট আকারের হতে হবে। সেখানে মাটি ও পানি দিয়ে জলাধার তৈরি করতে হবে। যেখানে পর্যাপ্ত সূর্যালোক পাওয়া যায় এবং সহজে পানি সরবরাহ করা যায়।
জলাধার তৈরি
মাটিতে গর্ত করা ছাড়াও উপযুক্ত আকারের চৌবাচ্চা, গামলা বা সিমেন্টের পাত্রে মাটি ও পানি দিয়ে জলাধার তৈরি করতে পারেন। গভীরতা কমপক্ষে ১-২ ফুট হওয়া উচিত। পাত্রটি যেন মোটামুটি গভীর হয়। জলাধারের মাটিতে জৈব সার মেশানো যেতে পারে।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
চারা রোপণ বা বীজ বপন
শাপলার বীজ বা মূল জলাধারে রোপণ করতে হবে।
পরিচর্যা
নিয়মিত পানি সরবরাহ করুন। খেয়াল রাখবেন, পানি যেন খুব বেশি গরম না হয়। কড়া রোদে পানি গরম হয়ে শাপলার পাতা হলুদ হয়ে যেতে পারে । চারা লাগানোর পর নিয়মিত পানি সরবরাহ ও পরিচর্যা করতে হবে।
বিজ্ঞাপন
প্রয়োজনে আগাছা পরিষ্কার করুন। শাপলার পাতা, কুঁড়ি ও ফুলে ভরে না ওঠা পর্যন্ত টবের পানির উপরে কয়েকটা টোপা পানা ভাসিয়ে দিতে পারেন, যা রোদে বেশি গরম হওয়া থেকে বাঁচাবে।
সার প্রয়োগ
প্রয়োজনে অল্প পরিমাণে সার প্রয়োগ করুন।নিয়মিত গাছের বৃদ্ধি পর্যবেক্ষণ করুন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন।
শাপলা সাধারণত ৫ বছর পর্যন্ত ফুল দেয় এবং এই সময়ের মধ্যে শিকড় বিস্তৃত হতে থাকে। তাই, একবার লাগানোর পর ৫ বছর পর্যন্ত শাপলা ফুল ফোটানো বা এর কন্দ (নাইল) সংগ্রহ করা যায়।
বিজ্ঞাপন
এসইউ/জেআইএম
বিজ্ঞাপন