ভিডিও EN
  1. Home/
  2. কৃষি ও প্রকৃতি

রেজাউলের দুগ্ধ খামারের বায়োগ্যাসে চলে রান্নার কাজ

জেলা প্রতিনিধি | ঝালকাঠি | প্রকাশিত: ১২:৪১ পিএম, ০৮ অক্টোবর ২০২৫

দুগ্ধ উৎপাদন খামারে ছোট-বড় মিলিয়ে ২২টি গরু আছে। একই সঙ্গে গোবর সংরক্ষণ করে বায়োগ্যাসের সাহায্যে উৎপাদিত গ্যাসেই চলে দৈনন্দিন রান্নার কাজ। মেহমান এলেও বাড়তি গ্যাসের জোগান দিতে হয় না। ২০ জন লোকের রান্নার কাজও চলে বায়োগ্যাসের মাধ্যমেই।

ঝালকাঠি সদর উপজেলার গাবখান বাজার সংলগ্ন এলাকার মো. রেজাউল করীম দুগ্ধ খামারে সফলতার পাশাপাশি বায়োগ্যাসেও সফল হয়েছেন। খামারিদের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। ইচ্ছা, পরিকল্পনা ও অদম্য শক্তিতেই এমন উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন রেজাউল করীম।

ছোটবেলা থেকেই চাকরির প্রতি মোটেও আগ্রহ নেই তার। তাই আত্মকর্মী হওয়ার স্বপ্ন বোনেন। কাজের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত লোকসান বা ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়নি। এ উদ্যোক্তা প্রথমে দুধের চাহিদা মেটাতে দুটি গাভি পালন শুরু করেন। সেই থেকে তার আগ্রহ বাড়ে আরও গাভি পালনের।

রেজাউলের দুগ্ধ খামারের বায়োগ্যাসে চলে রান্নার কাজ

বর্তমানে তার খামারে মোট ২২টি গরুর ১৮টি গাভি ও ৪টি বলদ বাছুর আছে। যার ১৫টি গাভি থেকেই দুধ উৎপাদন হয়। প্রতিদিন শতাধিক লিটার দুধ উৎপাদন হয়, যার প্রতি লিটার বিক্রি হয় ৭০ টাকা দরে। পরিচর্যার জন্য ৩ জন শ্রমিক নিয়োজিত আছেন। খামারে লালন-পালন করা ছোট বড় ২২টি গরুর গোবরও কাজে লাগিয়ে বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট করে সফল হয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন
গবাদিপশুর ক্ষুরা রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
দিনে শতাধিক লিটার দুধ পান ২২ গরুর মালিক

খামারি মো. রেজাউল করীমের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গরুর গোবর মটারের পানি দিয়ে পরিষ্কার করে একটি টাঙ্কিতে রাখা হয়। সেটার মাধ্যমে বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট করে পাইপের মাধ্যমে গ্যাস নিয়ে পারিবারিক কাজে ব্যবহার করা হয়। মেহমান থেকে শুরু প্রতিদিনের জ্বালানিতে ওই গ্যাস ব্যবহার করা হচ্ছে। সবমিলিয়ে দুধ উৎপাদনকারী খামারি হিসেবে তিনি নিজেকে গর্বিত মনে করছেন।

সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের চিকিৎসক মিজানুর রহমান বলেন, ‘সদর উপজেলার গাবখান ধানসিড়ি ইউনিয়নের গাবখান বাজার সংলগ্ন রেজাউল করীম দুধ উৎপাদনে গাভির খামার করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। পাশাপাশি বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট করে দৈনন্দিন রান্নার কাজও সম্পন্ন করছেন নিজের উৎপাদিত গ্যাস থেকে। চাকরির পেছনে না ঘুরে এভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি অন্যদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে বেকাত্ব থেকে দেশকে মুক্ত করা সম্ভব। আমাদের সাধ্য অনুযায়ী যাবতীয় পরামর্শসহ সার্বিক সহযোগিতা করছি।’

রেজাউলের দুগ্ধ খামারের বায়োগ্যাসে চলে রান্নার কাজ

সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ফারুক হোসেন বলেন, ‘দেশে নতুন নতুন খামার সৃষ্টির লক্ষ্যে আমরা উদ্যোক্তাদের উৎসাহ দিয়ে থাকি। মো. রেজাউল করীম দুধ উৎপাদনকারী খামার গড়ে সফল হয়েছেন। বাড়তি সফলতা পেয়েছেন বায়োগ্যাস থেকে। তাকে দেখে অনেকেই খামার গড়তে উৎসাহিত হচ্ছেন।’

জেলা প্রশাসক আশরাফুর রহমান বলেন, ‘প্রাণিসম্পদকে সুস্থ-সবল করতে পারলে দুধ, মাংস, ডিমের মাধ্যমে জিডিপি অর্জন করা সম্ভব। এতে দেশ ও খামারিরা স্বচ্ছল ও স্বাবলম্বী হতে পারবেন।’

মো. আতিকুর রহমান/এসইউ/এএসএম

আরও পড়ুন