বৃহস্পতিবার শুরু হচ্ছে চাষী নবান্ন উৎসব
নবান্নের গান, নাচ আর পিঠাপুলি উৎসবসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে ‘চাষী নবান্ন উৎসব’। এবার স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ এর পৃষ্টপোষকতায় আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে এ উৎসব শুরু হবে।
বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান কোম্পানির মার্কেটিং ম্যানেজার ইমতিয়াজ ফিরোজ।
ইমতিয়াজ ফিরোজ বলেন, গ্রাম বাংলার নবান্ন উৎসবের ধারাবাহিকতায় শহরের মানুষকে যুক্ত করতে আমাদের এ ক্ষুদ্র উদ্যোগ। স্কয়ার কোম্পানি দেশে ব্যবসার পাশাপাশি সামাজিক, সংস্কৃতি ও খেলাধুলায় সহায়তা করে থাকে। ঢাকাবাসী গ্রামের নবান্ন উৎসবে সরাসরি অংশ নিতে পারলেও আমাদের এখানে অংশ নিতে পারবেন।
তিনি আরও জানান, রাজধানীর রমনা বটমুলে এ উৎসব চলবে আগামী ২০ নভেম্বর ( বৃহস্পতিবার) থেকে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা প্রাঙ্গণ সবার জন্য উন্মুক্ত খাকবে। এছাড়া মেলায় মোট ৩০/৩৫টি স্টল থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে আর জানানো হয়, চাষী নবান্ন উৎসবে নতুন চালের ভাত ও রকমারি পিঠা পুলির আয়োজন থাকবে। তাছাড়া দেশের প্রতক্যন্ত অঞ্চল থেকে বিভিন্ন পিঠি শিল্পীরা তাদের পিঠার পসরা সাজিয়ে প্রদর্শন ও বিক্রি করবেন। সেখানে কুমিল্লার ঐতিহ্যবাহী পিঠা ঘর, লামিয়া বি-বাড়িয়া পিঠা ঘর, নেত্রকোনা পিঠা ঘর, লাবন্য নোয়াখলী পিঠা ঘর, সোনার গাঁ পিঠা ঘর, ময়মনসিংহ পিঠা ঘর, বিনোদন পিঠা ঘর, ঘর কন্যা, পিঠা পুলি, বিক্রমপুরের পিঠা পুলি, পিঠা পল্লী , আদি ঢাকাইয়া পিঠা ঘর, রসের হাড়ি পিঠা ঘর তাদের ব্যতিক্রমী পিঠা প্রদর্শন করবে। এছাড়া কয়েকটি স্টলে নকশিকাঁথা, মেহেদী উৎসব, হ্যান্ডিক্রাফট মাটির তৈরি খেলনা, কাঁরু শিল্প প্রতিষ্ঠান অংশ নিবে।
আরও জানানো হয়, চাষী নাবান্ন উৎসবে পিঠা শিল্পীদের কাজে উৎকর্ষ আনয়ন ও উৎসাহ প্রদানের জন্য পুরষ্কার ও সম্মননা দেওয়া হবে। এছাড়া দর্শনার্থীদের বিনোদনের জন্য গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী পুতুলনাচ, নাগরদোলা, বায়োস্কোপ, পালকি, পুঁথি গানের আসর, বাউল গান, সাঁপ খেলা, বানর খেলা, লাঠি খেলার আয়োজন করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- শোবিজ এন্টারটেইনমেন্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমিদা আনোয়ার মুন্নি, নির্বাহী পরিচালক মেহেদী হাসান প্রমুখ।