বাকৃবিতে নির্ধারিত ভাড়া মানছেন না রিকশাচালকরা

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ক্যাম্পাসের ভেতরে রিকশা ও ইজিবাইক চলাচলের জন্য ভাড়া নির্ধারণ করে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে বাস্তবে দেখা যায়, বেশিরভাগ রিকশাচালক এই নির্ধারিত ভাড়া মানতে রাজি নন। ফলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রায়ই তাদের তর্ক বিতর্কের সৃষ্টি হয়।
বেশ কয়েকদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায়, রিকশাচালক এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রায় ভাড়া নিয়ে হচ্ছে বাকবিতণ্ডা। বেশিরভাগ রিকশাচালক প্রশাসনের নির্ধারিত ভাড়া নিয়ে ক্ষুব্ধ।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
এ নিয়ে বাকৃবির শিক্ষার্থী সোহান জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের কে. আর. মার্কেট থেকে শেষ মোড় পর্যন্ত রিকশা ভাড়া ১০ টাকা নির্ধারিত হলেও আমার কাছে ২০ টাকা দাবি করেন রিকশাচালক। কিন্তু এটুকু পথ মোটেও ২০ টাকার ভাড়া নয়। তাই প্রশাসন যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে চলাচলের জন্য নির্দিষ্ট রিকশার ব্যবস্থা করে দেয়, তাহলে এই ভোগান্তি থেকে সহজেই মুক্তি পাবো।
এসময় রিকশাচালক মো. নীরবের সঙ্গে কথা বললে তিনি জাগো নিউজকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যে ভাড়া নির্ধারণ করে দিয়েছে সেটি আমাদের জন্য পর্যাপ্ত নয়। ময়মনসিংহ শহরে এটুকু রাস্তার ভাড়া আমরা সর্বনিম্ন ২০ টাকা রাখি। শিক্ষার্থীরা রিকশায় উঠার আগে ভাড়া মিটিয়ে উঠলেই এত সমস্যা হয় না।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
এর আগে শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ৫ ফেব্রুয়ারি রিকশা ও অটো ভাড়া নির্ধারণ করে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
প্রজ্ঞাপনে ভাড়ার বিষয়ে বলা হয়- কে. আর. মার্কেট থেকে প্রশাসনিক ভবন, টি.এস.সি, হেলথ কেয়ার সেন্টার, করিম ভবন, ঈশা খাঁ হল, শহীদ জামাল হোসেন হল, শেষ মোড়, শহীদ নাজমুল আহসান হল, আশরাফুল হক হল, শহীদ শামসুল হক হল, কৃষি সম্প্রসারণ ভবন পর্যন্ত রিকশায় ভাড়া ১০ টাকা ও ইজিবাইকে ৫ টাকা। বাকৃবির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ওই ভাড়ার তালিকা টানিয়ে দেওয়া হয়।
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী মো. মুরসালিন বলেন, ময়মনসিংহ শহরে চলাচলে প্রচুর যানজট মোকাবিলা করতে হয়। এক জায়গাতেই বসে থাকতে হয় অনেকক্ষণ। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে কোনো যানজট নেই। প্রশাসন নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা অবশ্যই দূরত্ব পরিমাপ করে দিয়েছে। তাই রিকশাচালকদের শহরের সঙ্গে তুলনা করে ভাড়া চাওয়া অমূলক।
বিষয়টি নিয়ে বাকৃবির সহযোগী ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ বলেন, শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করেই প্রশাসন ক্যাম্পাসের ভেতরে রিকশা ও অটো ভাড়া নির্ধারণ করে দিয়েছে। বাইরে থেকেও অনেক রিকশা ক্যাম্পাসের ভেতরে প্রবেশ করে এবং ভাড়া নিয়ে ঝামেলা করে।
তিনি আরও বলেন, ক্যাম্পাসের মধ্যে যারা নিয়মিত রিকশা চালান তাদের আরও মোটিভেট করার চেষ্টা করবো। তবে অনেক সময় বৃষ্টি বা অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় রিকশা ভাড়া বেশি চাওয়া হয়, শিক্ষার্থীদেরও সে সময় মানবিক হতে হবে। যেহেতু বিষয়টি শিক্ষার্থী কেন্দ্রিক তাই আমরা রিকশাচালকদের সঙ্গে আলোচনা করে ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে বিষয়টি জোরালোভাবে সমাধান করবো।
বিজ্ঞাপন
আসিফ ইকবাল/জেডএইচ/জিকেএস
বিজ্ঞাপন