ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ক্যাম্পাস

তিতুমীর কলেজ

শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ছবি-ভিডিও নেওয়ায় সাংবাদিকদের মারধর

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৯:৩২ পিএম, ২৬ মে ২০২৫

সরকারি তিতুমীর কলেজে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। এতে একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সোমবার (২৬ মে) সকালে কলেজের প্রধান ফটকের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

হামলার শিকার সাংবাদিকরা হলেন- অনলাইন নিউজ পোর্টাল ডেইলি ক্যাম্পাসের নিজস্ব প্রতিবেদক ও তিতুমীর কলেজ সাংবাদিক সমিতির দপ্তর সম্পাদক আমান উল্লাহ আলভি, সারাবাংলা ডটনেটের প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ মজুমদার রাব্বি, ডেইলি ক্যাম্পাসের ক্যাম্পাস প্রতিনিধি আল-আমিন মৃধা, এশিয়ান টিভি অনলাইনের প্রতিনিধি মাহমুদা আক্তার ও রাইজিংবিডির প্রতিনিধি উম্মে হাফসা। এর মধ্যে আমান উল্লাহ আলভির অবস্থা গুরুতর।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, মেধার ভিত্তিতে কলেজের হোস্টেলে সিট বরাদ্দের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মারধর ও তুলে নেওয়ার ছবি-ভিডিও ধারণ করায় তাদের ওপর হামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা। হামলার সময় তাদের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে ছবি-ভিডিও মুছে ফেলা হয় এবং কথা বললে জিহ্বা টেনে ছিঁড়ে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়।

হামলায় জড়িত ছাত্রদল নেতাকর্মীরা হলেন তিতুমীর কলেজ শাখার যুগ্ম-আহ্বায়ক আরিফ মোল্লা, খাজা মাইনুদ্দিন, হারুনর রশীদ, ইমাম উদ্দিন, নুর উদ্দিন জিসান, তোফায়েল আহমেদ, মেহেদী চৌধুরী, সোহাগ, সদস্য রাশেদুজ্জামান হৃদয়, সদস্য বাইজিদ হাসান সাকিব, সদস্য আল আমিন, আক্কাসুর রহমান আঁখি হলের সভাপতি তোহা।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

প্রত্যক্ষদর্শীর জানান, মেধার ভিত্তিতে কলেজের হোস্টেলে সিট বরাদ্দের দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলেন কয়েকজন শিক্ষার্থী। সোমবার সকালে তাদের সঙ্গে কথাকাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বেধড়ক মারধর করেন ছাত্রদল নেতাকর্মীরা।

ভুক্তভোগী সাংবাদিকদের অভিযোগ, শিক্ষার্থীদের মারধরের ছবি ও ভিডিও ধারণ করতে গেলে সাংবাদিকদের মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। পরে তাদের পেটান ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে হুমকির শিকার হন নারী সাংবাদিকরাও। একপর্যায়ে ছাত্রদল নেতারা সাংবাদিকদের জিহ্বা ছিড়ে ফেলার হুমকি দেন বলেও অভিযোগ করেছেন হামলার শিকার সংবাদকর্মীরা।

বিজ্ঞাপন

অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে তিতুমীর কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইমাম হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকারও করেছেন। তিনি বলেন, সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা নিন্দনীয়। হামলাকারীদের মধ্যে কয়েকজনের নামের তালিকা কেন্দ্রে পাঠিয়ে তাদের বাহিষ্কার করার বার্তা দেওয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

হামলায় গুরুতর আহত সাংবাদিক আমান উল্লাহ আলভী বলেন, আন্দোলনরত শিক্ষার্থী নায়েক নূরকে ছাত্রদলের একটি পক্ষ রিকশায় করে তুলে নিয়ে যাচ্ছিল। এসময় আমি ভিডিও ধারণ করতে গেলে আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালায় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। তারা আমার মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে ভিডিও মুছে ফেলে। আমার সঙ্গে থাকা সহকর্মী মাহমুদা ও উম্মে হাফছার‌ও ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। তাদেরও হেনস্তা করেন ছাত্রদল নেতাকর্মীরা।

এ ঘটনায় তিনি জড়িতদের আসামি করে থানায় মামলা করবেন বলেও জানিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

অভিযুক্ত অন্তত তিনজন ছাত্রদল নেতার সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি। এসএমএস করা হলেও তারা কোনো সাড়া দেয়নি।

জানতে চাইলে সরকারি তিতুমীর কলেজের অধ্যক্ষ ড. অধ্যাপক ছদরউদ্দিন আহমেদ বলেন, আজকের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এএএইচ/বিএ

বিজ্ঞাপন