ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ক্যাম্পাস

হল দখলকারীদের ছাত্রলীগের মতোই পরিণতি হবে: আব্দুল কাদের

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক | ঢাবি | প্রকাশিত: ১১:৫০ পিএম, ২৩ জুলাই ২০২৫

বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার আহ্বায়ক আব্দুল কাদের বলেছেন, যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে ছাত্ররাজনীতি ফিরিয়ে আনার মাধ্যমে হল দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে, তাদের ছাত্রলীগের মতোই পরিণতি বরণ করতে হবে।

বুধবার (২৩ জুলাই) সন্ধ্যায় শামসুন্নাহার হল কালো দিবস স্মরণে রাজু ভাস্কর্যে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ আয়োজিত মোমবাতি প্রজ্বালন কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন তিনি।

আব্দুল কাদের বলেন, আমরা অতীতে দেখেছি যারাই ক্ষমতায় আসেন তারা ঢাবি শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে দাসত্বের রাজনীতি কায়েম করেন। আমরা শিক্ষাঙ্গনে আমূল পরিবর্তন চাই।

তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ হল দখলের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। জুলাই অভ্যুত্থানের সময় শিক্ষার্থীরা ঘোষণা করেছে হলে কোনো রাজনীতি চলবে না। তাদের দাবির প্রতি সম্মান জানিয়ে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ হলে কোনো রাজনীতি করবে না। হলে রাজনীতি চালু হলে আবারও শামসুন্নাহার হল ট্র্যাজেডির মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে।

এসময় অভিযোগ করে আব্দুল কাদের বলেন, বর্তমানে হল প্রশাসন কৃত্রিম সিট সংকট তৈরি করে হলে ছাত্র রাজনীতি ফিরিয়ে আনার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এ ক্যাম্পাসে একটা কালচার (সংস্কৃতি) আছে, যেটি শিক্ষার্থীদের স্বাধীনভাবে চলতে দেয় না।

কর্মসূচিতে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের ঢাবি শাখার মুখ্য সংগঠক হাসিব আল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি কখনোই সুখকর রাজনীতি উপহার দিতে পারেনি। তারা সরকারের পেটোয়া বাহিনীতে পরিণত হয়। জুলাই অভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে শিক্ষার্থীরা লেজুড়বৃত্তিক ও হল দখলের রাজনীতিকে লালকার্ড দেখিয়েছে।

২৩ জুলাই ঢাবিতে শামসুন্নাহার হল কালো দিবস পালন করা হয়। ২০০২ সালের এই দিনে শামসুন্নাহার হলে রাত ১২টার দিকে পূর্ববর্তী সরকারের আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত হল প্রাধ্যক্ষকে সরানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে হলের গেট ভেঙে সাধারণ ছাত্রীদের ওপর হামলা চালায় পুলিশ ও ছাত্রদল। এতে অসংখ্য ছাত্রী আহত হন।

তারই প্রতিবাদে ২০০৩ সাল থেকে ছাত্র-শিক্ষকরা প্রতিবছর ২৩ অগাস্টকে কালো দিবস হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেন। সেই ধারাবাহিকতায় মোমবাতি প্রজ্বালন ও বিক্ষোভের মাধ্যমে দিবসটি পালন করে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ।

এফএআর/কেএসআর