জুলাই স্মরণে জবিতে জাতীয় বিতর্ক উৎসব শুরু
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে জুলাই গণঅভ্যুত্থান জাতীয় বিতর্ক উৎসব
‘আমার চোখে জুলাই বিপ্লব’ স্লোগানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হলো জুলাই গণঅভ্যুত্থান জাতীয় বিতর্ক উৎসব ২০২৫। ঢাকা জেলা প্রশাসন ও ঢাকা জেলা পরিষদের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির আয়োজনে এ বিতর্ক প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করা হয়।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের সেমিনার কক্ষে উৎসবের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় পর্যায়ের এমন একটি বিতর্ক উৎসব আয়োজন করতে পারা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের। জুলাই বিপ্লব আমাদের ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় এটি প্রমাণ করে দেয়, ফ্যাসিবাদী শক্তিকে পরাজিত করতে জাতিগত ঐক্য এবং বৃহৎ আন্দোলনের প্রয়োজন হয়। বর্তমান সময়ে নানান মতবিরোধ ও বিভাজনের প্রেক্ষাপটে আমাদের মনে রাখতে হবে, জুলাই বিপ্লবের মূল চেতনা ছিল একটি বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা। সেই চেতনাকে ধারণ করেই আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ফুয়ারা খাতুন। বিশেষ অতিথি ছিলেন জবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীন।
- আরও পড়ুন
‘অনিরাপদ এলাকায়’ অবস্থিত মাইলস্টোন স্কুল, সরিয়ে নেওয়া উচিত
চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি-রপ্তানিতে বাড়ছে ৩০ শতাংশ শুল্ক
আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা পরিষদের প্রধান প্রকৌশলী সফিকুল ইসলাম এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা শাহাবুদ্দিন। সার্বিক সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন জবি ডিবেটিং সোসাইটির মডারেটর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ নূরুল্লাহ।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত জবি শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান প্রভা স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য দেন। যা উপস্থিত সবাইকে আবেগাপ্লুত করে তোলে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জবি ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি মাঈন আল মুবাশ্বির এবং সাধারণ সম্পাদক মো. মেহেদী হাসান।
তিন দিনব্যাপী এই বিতর্ক উৎসবের চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৫ আগস্ট। এবারের প্রতিযোগিতায় দেশের ৩২ বিশ্ববিদ্যালয় এবং স্কুল-কলেজ পর্যায়ের ৩২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (১৬টি স্কুল ও ১৬টি কলেজ) অংশ নিচ্ছে।
জগন্নাথ ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি মাঈন আল মুবাশ্বির বলেন, তরুণ বুদ্ধিবৃত্তিক অঙ্গনে জুলাইয়ের ন্যারেটিভ চর্চা করাটা অনেক জরুরি। ন্যারেটিভ বা বয়ান তৈরি করার জন্য অথবা চর্চা করার জন্য বিতর্ক সর্বোত্তম মাধ্যম। ফ্যাসিবাদের কাউন্টার বয়ান প্রতিষ্ঠা করাই এই জাতীয় বিতর্ক উৎসবের প্রধান উদ্দেশ্য। আসুন আমরা শুধু ট্রফির জন্য বিতর্ক না করে নৈতিকতা ও মূল্যবোধের জন্য বিতর্ক করি।
টিএইচকিউ/কেএসআর/জেআইএম