ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ক্যাম্পাস

বাকৃবির সিআরপি সেন্টার

থেরাপি নিয়ে মুখের ভাষা ফিরে পেলেন বাকপ্রতিবন্ধী

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক | বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় | প্রকাশিত: ১০:০২ পিএম, ২৯ জুলাই ২০২৫

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) অবস্থিত সেন্টার ফর দ্য রিহ্যাবিলিটেশন অব দ্য প্যারালাইজড (সিআরপি) ময়মনসিংহ সেন্টারের স্পিচ থেরাপির মাধ্যমে এক বাকপ্রতিবন্ধী নারীর মুখে ভাষা ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। মাত্র ১২টি সেশনেই চিকিৎসা পেয়েছেন গ্লোবাল অ্যাফেসিয়া, ওরো-ফ্যারিঞ্জয়াল ডিসফ্যাজিয়া ও ডিসলেক্সিয়ায় আক্রান্ত ৩৫ বছর বয়সী রোগী সুমি।

গ্লোবাল অ্যাফেসিয়া, ওরো-ফ্যারিঞ্জয়াল ডিসফ্যাজিয়া ও ডিসলেক্সিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার অর্থ হলো আক্রান্ত ব্যক্তি কথাও বলতে পারেন না, গিলতে পারেন না; এমনকী নিজের অনুভূতিগুলো প্রকাশ করতেও পারেন না।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সুমির মুখের ভাষা ফেরত পেতে অবদান রাখা সিআরপি ময়মনসিংহ সেন্টারের স্পিচ অ্যান্ড ল্যাংগুয়েজ থেরাপিস্ট সাবরিনা হোসেন তৃষা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এক রাতে সন্ত্রাসীদের হামলায় মাথায় গুরুতর আঘাত পান ময়মনসিংহের বাসিন্দা সুমি। এরপর থেকেই তার বাকশক্তি, গলাধঃকরণ ক্ষমতা এবং ভাষা প্রকাশের সক্ষমতা হারিয়ে যায়। তখন জনৈক নিউরো-সার্জনরা জানান, তিনি আর কখনোই কথা বলতে পারবেন না।

পরবর্তী সময়ে সুমিকে বাকৃবির সিআরপি ময়মনসিংহ সেন্টারে আনা হলে স্পিচ অ্যান্ড ল্যাংগুয়েজ থেরাপিস্ট সাবরিনা হোসেন তৃষার তত্ত্বাবধানে শুরু হয় থেরাপি। ধাপে ধাপে চিকিৎসা চলাকালীন তিন মাসেই দৃশ্যমান উন্নতি দেখা যায়।

থেরাপি নিয়ে মুখের ভাষা ফিরে পেলেন বাকপ্রতিবন্ধী রোগী

এ বিষয়ে থেরাপিস্ট সাবরিনা হোসেন তৃষা জাগো নিউজকে বলেন, ‌‘আমি এই পেশাটি বেছে নিয়েছি, কারণ এটি অনন্য ও নতুন। আমি মনে করি, একজন অনুসন্ধানপ্রবণ ব্যক্তি হিসেবে আমার দক্ষতা এই পেশার জন্য উপযুক্ত। আমি এতে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারি।’

তিনি আরও বলেন, ‘স্পিচ অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপি বাংলাদেশে এখনো অনেকটাই অজানা একটি ক্ষেত্র। অথচ আমরা যে সমস্যাগুলোর চিকিৎসা করি, যেমন-কথা বলা, গিলতে পারা, কণ্ঠস্বর। এগুলো মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত। দ্রুত থেরাপি শুরু করলে রোগী দ্রুত উন্নতি লাভ করেন।’

তিন মাসের চিকিৎসা শেষে সুমি এখন আবার কথা বলতে পারছেন। প্রথমে ছোট শব্দ, পরে বাক্য, এরপর ধীরে ধীরে পূর্ণাঙ্গভাবে নিজেকে প্রকাশ করতে শুরু করেন তিনি।

সুমির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি থেরাপিস্ট তৃষা এবং সিআরপি সেন্টারকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানান এবং কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।

এম এ আই কিউ

আসিফ ইকবাল/এসআর/এমএস