‘ফ্যাসিস্ট’ শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বিচার দাবিতে জবি ছাত্রদলের ৫ দফা
ফ্যাসিস্ট শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিচারসহ পাঁচ দফা দাবিতে জবি উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে শাখা ছাত্রদল
ফ্যাসিস্ট শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিচারসহ পাঁচ দফা দাবিতে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রদল।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) দুপুরে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি হস্তান্তরের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঁঠালতলা প্রাঙ্গণে সংবাদ সম্মেলন করেন শাখা সংগঠনের নেতাকর্মীরা। লিখিত বক্তব্যে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল অভিযোগ করেন, গত বছরের নভেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কারের জন্য উপাচার্যের কাছে ২১ দফা দাবি জমা দেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত একটি দাবিও বাস্তবায়িত হয়নি।
তিনি বলেন, আমাদের দাবিগুলো যদি দ্রুত পূরণ না হয়, তবে আমরা কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো। স্বৈরাচারের সহযোগী ছাত্রলীগের সব শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বিচার না হলে জবির শিক্ষাঙ্গনে সুস্থ পরিবেশ ফিরবে না।
সংবাদ সম্মেলনে শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব সামসুল আরেফিন বলেন, ফ্যাসিস্টের সহযোগী শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ছাত্রলীগের যারা ফৌজদারি অপরাধে যুক্ত ছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। অন্যথায়, জকসুর সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত হবে না। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে বিচারকাজ সম্পূর্ণ করে জকসু নির্বচন প্রক্রিয়া তরান্বিত করতে হবে।
সংগঠনের দেওয়া পাঁচ দফা দাবি হলো-
১. অবিলম্বে আবাসিক ভাতা (সম্পূরক বৃত্তি) প্রদান ও ১ জুলাই ২০২৫ তারিখ থেকে থেকে বৃত্তি কার্যকর গণ্য করা। পাশাপাশি মুক্তমঞ্চে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের অবহিত করা।
২. বিশ্ববিদ্যালয়ের সাত একর নিজস্ব জমিতে এক মাসের মধ্যে অস্থায়ী আবাসন নির্মাণকাজ শুরু করে ছয় মাসের মধ্যে তা সম্পন্ন করা।
৩. পূর্বের স্মারকলিপির পরিপ্রেক্ষিতে তালিকাভুক্ত ছাত্রলীগের শিক্ষার্থী এবং নতুন তালিকায় ‘ফ্যাসিবাদের দোসর’ হিসেবে উল্লিখিত ৬৮ শিক্ষক ও ২৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।
৪. বিশ্ববিদ্যালয়ে অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া।
৫. বিচারের পর স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচন দ্রুত সম্পন্ন করা।
টিএইচকিউ/এএমএ/এমএস