ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ক্যাম্পাস

ছাত্রদল সভাপতি

ছাত্রলীগের মতো শিবিরও গুপ্ত রাজনীতির মাধ্যমে হল দখল করছে

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৬:৪৯ পিএম, ১৪ আগস্ট ২০২৫

ছাত্রলীগের মতো শিবিরও গুপ্ত রাজনীতির মাধ্যমে হল দখল করছে বলে মন্তব্য করেছেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব।

বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের সঙ্গে ছাত্রদলের প্রতিনিধি দলের সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে এ মন্তব্য করেন তিনি।

এদিন ঢাবি আবাসিক হল ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে এবং ডাকসুকেন্দ্রিক ছাত্র রাজনীতির রূপরেখা নির্ধারণের লক্ষ্যে ছাত্রদলের ১৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল উপাচার্যের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে।

এ সময় ছাত্রশিবিরের গুপ্ত রাজনীতির সমালোচনা করে রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, ‘ছাত্রলীগ যেভাবে হলগুলো দখল করেছিল শিবিরও গুপ্ত রাজনীতির মাধ্যমে হলের সামাজিক সংগঠনগুলো দখল করে নিচ্ছে। ঢাবি শিক্ষার্থী সংসদ গ্রুপে ছাত্রদলকে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের নেতিবাচক মন্তব্য করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছি।’

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হলসমূহে গুপ্ত ছাত্র রাজনীতির প্রতি অনীহা দেখিয়েছে। গুপ্ত ছাত্ররাজনীতি বন্ধে তারা কাজ করবে বলে আমাদের জানিয়েছেন। আমরা তাদের আশ্বস্ত করেছি, সচেতন ছাত্র সংগঠন হিসেবে সবসময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে থাকবো।

এ সময় ক্যাম্পাসে থাকা চিহ্নিত ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে বিচারের বিষয়ে কথা বলেন বলেও জানান তিনি।

ছাত্রদল সভাপতি আশা ব্যক্ত করে বলেন, আগামী শনিবারের মধ্যেই হয়তো ক্যাম্পাসে গুপ্ত ছাত্রজনীতি নিষিদ্ধ, হলে ছাত্র রাজনীতির প্রকৃতি ও ঢাবি ক্যাম্পাসের নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে আমরা আপডেট পাব।

তিনি দাবি করেন, আমরা ছাত্রদল মব এবং সোশ্যাল মিডিয়া ট্রায়ালের শিকার হচ্ছি। ছাত্রলীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসী জুলিয়াস সিজার তালুকদার, যে ঢাবি শিক্ষার্থীর সংসদ-১ ফেসবুক গ্রুপের অ্যাডমিন। তিনি বিভিন্নভাবে এই ফেসবুক গ্রুপে ছাত্রদলকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করছে। ছাত্রদলের হল কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে যে মব সৃষ্টি হয়েছিল তার অন্যতম নেতৃত্ব প্রদানকারী ছিলেন এই জুলিয়াস সিজার তালুকদার।

ছাত্রদল সভাপতি বলেন, কারা সাইবার বুলিং করছে, গুপ্ত ছাত্র রাজনীতির মাধ্যমে ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করছে এবং অপসংস্কৃতির জন্ম দিচ্ছে তা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তদন্ত করবে বলে আমাদের আশ্বস্ত করেছে। আমাদের হল কমিটিগুলো বিদ্যমান থাকবে।

এফএআর/এনএইচআর/জেআইএম