জবিতে শারদ জাগরণ উৎসব শনিবার
অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনের প্রত্যয় নিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) প্রথমবারের মত অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘শারদ জাগরণ উৎসব ২০২৫’।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ছাত্র ঐক্য পরিষদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক চন্দন কুমার দাস।
এদিন সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হবে শুভ প্রারম্ভ ও আলোচনা সভা। এরপর সন্ধ্যা ৭টায় মঞ্চস্থ হবে নাট্যকলা বিভাগের পরিবেশনায় ‘শক্তি জাগরণী’ নাটক ও রাত ৮টায় পরিবেশিত হবে সংগীত বিভাগের ‘শক্তির গান’। সবশেষে রাত ৯টা থেকে ব্যান্ড ‘স্বরূপ’ পরিবেশন করবে ধর্মীয় গানের কনসার্ট।
আয়োজক সংগঠনের নেতারা জানান, অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে তরুণ প্রজন্মকে সাংস্কৃতিক চর্চার মাধ্যমে অনুপ্রাণিত করাই আমাদের উদ্দেশ্য। শারদীয় উৎসব উপলক্ষে এ আয়োজন হবে একতার প্রতীক।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সৈকত সাহা অগ্নি বলেন, শারদ জাগরণ উৎসব আমাদের ভক্তি, সংস্কৃতি ও ঐক্যের মিলনমেলা। এই জাগরণ আমাদের অন্ধকার থেকে আলোয়, অন্যায় থেকে ন্যায়ের পথে চলার অনুপ্রেরণা দেয়। দেবীর মহাশক্তিকে আহ্বান করে আমরা জীবনে শান্তি, শক্তি ও সত্যের প্রতিষ্ঠা কামনা করি।
বাংলাদেশ ছাত্র ঐক্য পরিষদের জবি শাখার সাধারণ সম্পাদক চন্দন কুমার দাস বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মূলনীতি জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা, গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা। বাঙালি জাতির ঐক্য ও সংহতি রক্ষা আমাদের মূল লক্ষ্য। পাশাপাশি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতা নিশ্চিত, বৈষম্য ও সাম্প্রদায়িকতার অবসান, আদিবাসী ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর ওপর শোষণ রোধ, সামাজিক স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সমমর্যাদাভিত্তিক শোষণমুক্ত সমাজ গড়ে তুলতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

এ বিষয়ে সংগঠনের সভাপতি অর্ঘ্য শ্রেষ্ঠ দাস বলেন, বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র। কালের পরম্পরায় এখানে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও আদিবাসী সম্প্রদায় পাশাপাশি সহাবস্থান করছে। তাদের পারস্পরিক সম্মান ও ভ্রাতৃত্ববোধই আমাদের দেশের সৌন্দর্য এবং অহংকার। এই ভালোবাসার পরম্পরা অব্যাহত রাখতেই আমাদের ‘শারদ জাগরণ উৎসব ২০২৫’-এর আয়োজন। প্রতিবছর নিয়মিতভাবে এই উৎসব আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের।
সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা জানান, এ উৎসব তাদের জন্য নতুন অভিজ্ঞতা হবে। শুধু উৎসব নয়, এটিকে আমরা এক ধরনের সাংস্কৃতিক আন্দোলনে রূপ দিতে চাই।
টিএইচকিউ/এএমএ/জেআইএম