সুমুদ ফ্লোটিলায় ইসরায়েলের বাধার প্রতিবাদে জাকসুর বিক্ষোভ
গাজামুখী গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার ত্রাণবাহী জাহাজ ইসরায়েলি বাহিনী কর্তৃক আটকের প্রতিবাদে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) বিকেলে ‘জাকসুর’ আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে শহীদ মিনারে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীদের ‘ফ্রম দা রিভার টু দ্য সি, প্যালেস্টাইম উইল বি ফ্রি’, ‘ওয়ান টু থ্রি ফোর জায়োনিজম নো মো’, ‘জাস্টিস জাস্টিস, উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘ইন্তিফাদা ইন্তিফাদা জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ’, ‘ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন’, ‘হামাসের যোদ্ধারা, লও লও লও সালাম’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
মিছিল পরবর্তী সমাবেশে জাকসুর জিএস মাজহারুল ইসলাম বলেন, ইসরায়েল মানবতার চির দুষমণ। ইসরাইল শুধু গত দুই বছরে এক লাখের মতো ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। যারা মানবতার বুলি আওড়ায়, ফিলিস্তিনের বিষয়ে কোনো কথা বলে না। আমরা বিভিন্ন দেশের ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে কথা বলেছি, তারা বলেছে জনমত গঠনই ফিলিস্তিনের মুক্তি এনে দিতে পারে।
জাকসুর ভিপি আব্দুর রশিদ জিতু বলেন, পৃথিবীর সবচেয়ে বর্বর ও নৃশংস রাষ্ট্র ইসরায়েল। বিশ্ব মানবতার জন্য যারা কাজ করেন তারা গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা নিয়ে গাজা অভিমুখে গেলে বর্বর ইসরায়েলী বাহিনী সেগুলো আটক করে। আমরা বাংলাদেশ থেকে ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মানবিক সহায়তা যাত্রায় সংহতি জানাচ্ছি। এছাড়া গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা আটকের তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
মিছিলে সংহতি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেন, অত্যন্ত বেদনা নিয়ে আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়েছি। অভুক্ত গাজাবাসীর আহারের জন্য গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলায় যে মানবিক সহায়তা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তা অত্যাচারী ইসরায়েলি বাহিনী আটক করেছে। এই পৃথিবীর এক নম্বর সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরায়েল এবং তার প্রধান হলো নেতানিয়াহু। ইসরায়েলকে যারা সহায়তা করছে তারাও এই মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য সমানভাবে দায়ী। আমরা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানাই।’
মো. রকিব হাসান প্রান্ত/এমএন/এএসএম