ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড বাতিলে ছাত্রদলের ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড বাতিলসহ তিনদফা দাবি আদায়ে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল। শনিবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে প্রশাসন ভবন চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি শেষে তিন দফা দাবি নিয়ে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তারা।
তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, আল-কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতার, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড বাতিল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস চালককে মারধরের ঘটনার সুষ্ঠু বিচার।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ ও সদস্যসচিব মাসুদ রুমি মিথুন, যুগ্ম-আহ্বায়ক আনোয়ার পারভেজ, আনারুল ইসলাম, রোকন উদ্দিন, আহসান হাবীব, সদস্য রাফিজ আহমেদ ও নূর উদ্দিন প্রমুখ।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, সম্প্রতি ফোকলোর স্টাডিজ ও ল অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড অনুষ্ঠিত হয়। ছাত্রদল নেতারা অভিযোগ করেন, এ নিয়োগ বোর্ডের মাধ্যমে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন করা হচ্ছে। ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগে ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্টদের পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে এবং ল অ্যন্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের নিয়োগ বোর্ডে ‘ফ্যাসিস্ট’ হিসেবে পরিচিত সভাপতিকে রাখা হয়েছে বলে দাবি সংগঠনটির।

তারা বলেন, আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন এ ক্যাম্পাসে চলবে না। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিয়োগ বোর্ড বাতিল না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেন তারা। পাশাপাশি সাজিদ হত্যার ঘটনার দুই মাস পেরিয়ে গেলেও খুনিদের গ্রেফতার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন নেতাকর্মীরা।
এ ছাড়া শুক্রবার রাতে ঝিনাইদহের শৈলকূপা এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীবাহী বাসের চালককে মারধরের ঘটনায়ও নিন্দা জানায় ছাত্রদল। সংগঠনটির নেতারা বলেন, এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন ব্যর্থ প্রশাসন। এমন নির্লজ্জ প্রশাসন আগে দেখিনি। ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে আপনাদের চেয়ারে বসানো হয়েছে। আর আপনারা আছেন আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের পুনর্বাসনে। নিয়োগের হায়্যার বোর্ডে ফ্যাসিস্টদের রাখা হয়েছে। ফোকলোর বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ছাত্রলীগকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিয়োগ বোর্ড বাতিল করতে হবে।
তিনি সাজিদ হত্যায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসচালকের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।
ইরফান উল্লাহ/আরএইচ/জেআইএম