ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ক্যাম্পাস

জাবিতে নবীন শিক্ষার্থীদের র‍্যাগিং, তদন্তে প্রশাসন

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক | জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় | প্রকাশিত: ০২:১৬ পিএম, ১৩ অক্টোবর ২০২৫

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ নম্বর হলের বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছে। তাদের অন্ধকারে দাঁড় করিয়ে মানসিক নিপীড়ন করেন একই বিভাগের ৫৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।

রোববার (১২ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই হলের ৪০৩ নম্বর রুমে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও হল সংসদ প্রতিনিধিরা।

ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক শিক্ষার্থীর জানায়, ৫৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের প্রথমে রফিক-জব্বার চত্বরে ডাকা হয়। পরে তাদের ২১ নম্বর হলের ৪০৩ নম্বর কক্ষে যেতে বলা হয়। সেখানে ৫৪তম ব্যাচের ২০ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত হন। কক্ষে প্রবেশের পর নবীনদের দুই সারিতে দাঁড় করানো হয়। তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ করে রাখতে বলা হয় এবং কক্ষের দরজা ও জানালাসহ সব আলো নিভিয়ে রাখা হয়। প্রায় ১৫ থেকে ২০ মিনিট অন্ধকার রুমে দাঁড় করিয়ে রাখা হয় নতুন শিক্ষার্থীদের। এ সময় তাদের বিভিন্ন নিয়ম-কানুন ও শৃঙ্খলা সম্পর্কিত প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়।

র‍্যাগিংয়ের সঙ্গে যুক্ত ৫৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা হলেন, সাইদ, তানভীর রহমান মুন, আব্দুল্লাহ আল ফাহাদ, আবু তালহা রনি, রাজিব শেখ, ইয়ামিন খান হৃদয়, আবু সাইদ, জান্নাতুল আদন, আহমেদ আরেফিন রাতুল, রেজওয়ান ইসলাম রিফাত, তাসনিমুল হাসান জুবায়ের, রুম্মান, রাকিবুল হাসান নিবিড়, জাহিদুল ইসলাম ও উশান্ত ত্রিপুরা।

র‌্যাগিংয়ের শিকার এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা সবাই ভয় পেয়েছিলাম। দরজা বন্ধ, লাইট বন্ধ, সবাইকে সেনাবাহিনীর ট্রেনিংয়ের মতো দুই সারিতে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই হঠাৎ কয়েকজন বড়ভাই রুমে ঢুকে লাইট অন করেন।

অভিযোগ অস্বীকার করে তানভীর জামান মুন বলেন, আমরা কাউকে র‍্যাগ দেইনি। এখানে সেরকম কোনো ঘটনা ঘটেনি। পরীক্ষার কারণে আমরা নবীনবরণ অনুষ্ঠান করতে পারিনি। তাই আলোচনার জন্য তাদের ডেকেছিলাম।

অভিযোগের বিষয়ে ২১ নম্বর হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক বোরহান উদ্দিন বলেন, অভিযুক্তদের মধ্যে শুধু তিনজন এ হলের। বাকিরা ভিন্ন ভিন্ন হলের। তাদের সবার তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তির জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর আজকের মধ্যে আবেদন করা হবে। এটা অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজ।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, ঘটনাটি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। আমরা হল প্রশাসনকে নির্দেশনা দিয়েছি। তারা বিষয়টির সত্যতা যাচাই করছে। তদন্ত করে আমাদের কাছে প্রতিবেদন জমা দিলেই আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

মো. রকিব হাসান প্রান্ত/আরএইচ/জিকেএস