ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ক্যাম্পাস

শিক্ষার্থীদের আন্দোলন: শাকসুর তারিখ পরিবর্তনের আশ্বাস প্রশাসনের

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক | শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় | প্রকাশিত: ১১:৫২ এএম, ১৫ নভেম্বর ২০২৫

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (শাকসু) নির্বাচনের তারিখ নিয়ে বিবেচনা করে পুনরায় সিদ্ধান্ত নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সাজেদুল করিম। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবিকে বিবেচনায় নিয়ে কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানান তিনি।

শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) দিনগত রাত পৌনে ৪টায় প্রশাসনিক ভবন-১ এর সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মাঝে উপস্থিত হয়ে তিনি এ আশ্বাস দেন। এসময় শিক্ষার্থীরা ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের দাবি জানান।

শাকসুর প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে উপ-উপাচার্য শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘তোমরা যে যৌক্তিক দাবি তুলেছো, ১৭ তারিখ নির্বাচন হলে শিক্ষার্থীরা অংশ নিতে পারবে না, এটি আমরা বিবেচনায় নিচ্ছি। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আবারও আলোচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত জানাবো।’

এর আগে ১৭ ডিসেম্বর নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে প্রশাসন। এরপরই প্রশাসনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভ করতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনরত

শিক্ষার্থীদের আন্দোলন: শাকসুর তারিখ পরিবর্তনের আশ্বাস প্রশাসনের

রাত পৌনে ৪টায় প্রশাসনিক ভবন-১ এর সামনে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী দেলোয়ার হোসেন শিশির আন্দোলনরতদের পক্ষে ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দেওয়ার দাবির ঘোষণা দেন।

শিশির বলেন, ‘১৭ তারিখ নির্বাচন হলে ভোটারদের সংখ্যা কমে যাবে, যেহেতু তার আগে চার দিন বন্ধ রয়েছে। তাই শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা ডিসেম্বরের ১২ তারিখের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানাচ্ছি। কোনো পক্ষ যেন দাবি করতে না পারে আমরা প্রশাসনের ওপর চাপ প্রয়োগ করছি। সেজন্য আমরা বলেছি, ১২ তারিখের মধ্যে যেকোনো একদিন নির্বাচন করতে পারে প্রশাসন। যেহেতু নির্বাচন কমিশন জানিয়েছেন, তারা ৮ ডিসেম্বরের পর যেকোনো দিন নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রশাসন কর্তৃক শীতকালীন ছুটি পেছানোর সিদ্ধান্ত আমরা মেনে নিচ্ছি না। আমরা পূর্বের ছুটির তারিখ বহাল রাখার দাবি জানাচ্ছি। আমাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বসে পুনরায় সিদ্ধান্ত নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।’

এসএইচ জাহিদ/এমএন/এমএস