শাকসু নির্বাচন
ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (শাকসু) ও হল সংসদের মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। মনোনয়ন বিতরণের প্রথম দিনেই আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আদনান আহমেদ মোহনের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় নির্বাচন কমিশন থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন আদনান মোহন। অভিযোগ উঠেছে, শাকসুর আচরণবিধির নিয়ম ভেঙে মনোনয়নপত্র সংগ্রহের সময় তার সঙ্গে ১৫ জন নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। এই ছবিটি আদনান নিজেই তার ফেসবুক প্রোফাইলে শেয়ার করেন।
ছবিতে দেখা যায়, আদনান মোহনের কাছে মনোনয়নপত্র তুলে দিচ্ছেন নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল ইসলাম ও স্থপতি ইফতেখার রহমান। এসময় আদনানের সাথে ১৫ জন উপস্থিত ছিলেন।
শাকসুর আচরণবিধি মালার ২ নম্বর (মনোনয়নপত্র সংগ্রহ, দাখিল ও প্রার্থিতা প্রত্যাহার) অনুচ্ছেদে (ক)-এ বলা হয়েছে, মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ এবং দাখিলের সময় কোনো প্রকার মিছিল করা যাবে না। প্রার্থী ও প্রস্তাবকারী, সমর্থনকারীসহ ৫ জনের বেশি নিয়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে আসা যাবে না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আদনান মোহন বলেন, সবাই আমার সঙ্গে যাননি। আমরা নিজ বিভাগের ৩ জন প্রার্থী একসঙ্গে মনোনয়নপত্র সংগ্রহের জন্য গিয়েছিলাম। এছাড়া মনোনয়নপত্র নেওয়ার বিষয়ে যে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে সেখানে মনোনয়নপত্র সংগ্রহের সময় কতজন থাকতে পারবে বিষয়টি উল্লেখ ছিল না।
তিনি আরও বলেন, আমাদের মনোনয়নপত্র দেওয়া নির্বাচন কমিশনারও বিষয়টি অবগত ছিলেন না। ভেতরে যাওয়ার পর একজন বাহির থেকে এসে বলেন, একসঙ্গে মনোনয়নপত্র নেওয়ার সুযোগ নেই, এটি আচরণবিধিমালায় উল্লেখ আছে। তখন উপস্থিত নির্বাচন কমিশনারই প্রশ্ন করেন, কতজন এবং পরে তিনি আচরণবিধি দেখে বলেন, এটাতে ৫ জন উল্লেখ রয়েছে। নির্বাচন কমিশনার বলার পর আমরা বের হয়ে যাই।
আচরণবিধি লঙ্ঘনের ছবি নিজ প্রোফাইলে শেয়ার করার বিষয়ে আদনান মোহন বলেন, সত্যি কথা বলতে নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়টি আমি ৫ মিনিট আগে জেনেছি। আপনার কাছ থেকে দ্বিতীয়বারের মতো জানলাম। আমি নিজের ফেসবুক থেকে ছবিটি সরিয়ে নেব।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার স্থপতি ইফতেখার রহমান জাগো নিউজকে বলেন, মনোনয়নপত্র এসে নিয়ে গেছেন, তবে সেখানে কতজন ছিলেন সেটা ঠিক বলতে পারবো না। আচরণবিধির বিষয়টি সম্পর্কে নির্বাচন কমিশন অবগত নয়- এই অভিযোগের বিষয়টি ঠিক না বলে জানান এ নির্বাচন কমিশনার।
এসএইচ জাহিদ/কেএইচকে/জেআইএম